্মাত্র ১৫ বছর বয়সে নুসরত প্রথম বেঙ্গালুরুতে একটি এনজিও ভিত্তিক ড্রিম স্কুল ফাউন্ডেশন বানিয়ে ছিলেন। ১৫ বছর বয়েসে এতো বড় একটা কাজ করাও যে কতটা মুশকিল তা না বললে বিশ্বাস করা মুশকিল। তার মধ্যে বেশ কিছুজন ছাত্র ছিলো , তারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করার জন্যই তাদের পাশে পেয়েছিলো নুসরাতকে ।এই ব্যথা যেন আজও নুসরাতকে ভাবায় । কিন্তু তিনি কখনও এই ব্যথাকে তাঁর পথের কাঁটা হতে দেয়নি এবং প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন।নুসরাতের ঘনিষ্ঠ একজন জানান ” লোকেরা জানতো সে তার বাড়ি চালানোর জন্য উপার্জন করছে , তবে সে পড়াশোনা করতে চেয়েছিল তাই সে উপার্জন করতো, আর আমরা তাকে সহায়তা করতে চেয়েছিলাম শুরু থেকেই।”
নুসরাত তাঁর চার বোন-ভাইয়ের মধ্যে বড়। তাঁর মা মারা যাওয়ার সময় তিনি খুব অল্প বয়সি ছিলেন এবং তারপরে বাবা তাকে বৃদ্ধ দাদা-দিদিমার কাছে রেখে যান। তার বাবা আবার বিয়ে করেছিলেন এবং এখন তাঁর দ্বিতীয় পরিবারও রয়েছে।
নুসরত ড্রিম স্কুল ফাউন্ডেশনের সহায়তায় বিকমে ভর্তি হন। খুব ভাল হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজের ফি খুব বেশি এবং তহবিল দেওয়া খুব কঠিন ছিল, তাই ফাউন্ডেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে নুসরতকে শহরের একটি ক্যাফেতে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। এরপর কলেজ শিক্ষার পাশাপাশি নুসরাতও বেকিং এবং ক্যাফে চালানোর কৌশল শিখতেন। এছাড়াও, তিনি পার্ট টাইমও কাজ করতেন।
আজ নুসরত তাঁর স্বপ্নের এক ধাপ এগিয়ে এসেছেন। ব্যাঙ্কে কাজ করার সময়, তিনি তার বাড়ির জন্য এবং একই সাথে তার ক্যাফেটির জন্য টাকা জমাচ্ছেন। আগামী বছরগুলিতে তিনি তার নিজস্ব ক্যাফে খুলবেন বলেও আশা করা হচ্ছে। এই গল্প শুধু নুসরাতের গল্প নয়। এই গল্পটি ব্যাঙ্গালোরের সরকারী স্কুলে পড়াশোনা করা প্রায় হাজার হাজার শিশুর গল্প।





Made in India