বাংলা হান্ট ডেস্ক: সমস্ত জল্পনা কাটিয়ে অবশেষে ফলাফল এল। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শান্তিনিকেতনে বহাল তবিয়তে আয়োজন করা হচ্ছে পৌষমেলা। কিন্তু এবছর মেলা চলবে চারদিন। শুধু তাই নয় এবারের পৌষ মেলা দূষণমুক্ত করতে, তৈরি করা হয়েছে একগুচ্ছ নতুন নিয়ম। সাধারণভাবে মেলার স্টল বুক করা যাবেনা পৌষ মেলা স্টল দিতে হলে তার বুকিং করতে হবে অনলাইনে। বহুদিন ধরেই পৌষমেলা নিয়ে বহু জল্পনা চলে আসছে, এই জটিলতা ঘিরে বার কয়েক আলোচনায় বসে বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। বেশ কয়েক দফা আলোচনা করার পর দুপক্ষই অবশেষে শেষমেশ মেলা আয়োজনের পক্ষেই সায় দিয়েছে।

প্রসঙ্গত কয়েক মাস আগে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় পৌষমেলা পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে আসছে কর্তৃপক্ষ। যার ফলে মেলার ভবিষ্যৎ নিয়ে এক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়! এরপর বেশ কয়েক দফা বৈঠক ও আলোচনা করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যৌথভাবে আয়োজন করা হবে পৌষ মেলার, যার সমস্ত দায়িত্ব পালন করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। বহু বছর ধরে চলে আসায় পৌষ মেলা এবছরও আয়োজন করা হচ্ছে শান্তিনিকেতনে। তবে পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে এবছরের মেলায় একগুচ্ছ নতুন বিধিনিষেধ থাকছে।
প্রথমদিকে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকেই পৌষ মেলার আয়োজন করা হতো। পরে এই মেলার দায়িত্ব নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু যতদিন দিতে থাকে শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা আকার আয়তনে আরো দীর্ঘায়িত হতে থাকে। প্রবল জনপ্রিয় মেলায় ভিড় জমান দেশ-বিদেশের মানুষ। কিন্তু সমস্ত সমস্যার সূত্রপাত ঘটে ২০১৫ সালে। ২০১৫ সালে মেলা পরবর্তী দূষণের অভিযোগে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা হয়।
এই পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ খাতিরে বিশ্বভারতী প্রচুর চেষ্টা করা সত্ত্বেও, ২০১৯ সালে এই বিষয় নিয়ে আরও একটি মামলা করা হয় পরিবেশ আদালতে। তারপরেই মেলা পরিচালনা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী। জটিলতা সৃষ্টি হয় যে ঐতিহাসিক তাহলে বন্ধ হয়ে যাবে?। অবশ্য ফলাফল এসে গেছে সম্প্রতি। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও আয়োজন করা হচ্ছে পৌষ মেলা, ফের একবার অপেক্ষায় গোটা ভারত সহ সমগ্র বিশ্ব।





Made in India