বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভাইফোঁটায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণের বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করলেন CPI(M)-র পলিটব্যুরো সদস্য তথা রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপালের সংঘাতকে মূলত নাটক বলেই দাবি করলেন তিনি। এদিন ভাইফোঁটায় মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”ফোঁটা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্র হবে অমিত শাহর দুয়ারে দিলাম কাঁটা, ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা।”

উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে মহম্মদ সেলিমের ক্রিয়া-কলাপ-এ চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। সিপিআইএম নেতা তার টুইটার একাউন্টে বিজেপি বিরোধী মন্তব্য করায় সাময়িক সময়ের জন্য সাসপেন্ড করে দেয়া হয় তার টুইটার হ্যান্ডেল। সেলিম দাবি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে উদ্ধৃত করে তিনি টুইট করেছিলেন। কিন্তু বিজেপির আইটি সেল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে বন্ধ করিয়ে দিয়েছে।
মহম্মদ সেলিমের পোস্ট করা একটি টুইট কে নিয়ে শুরু হয় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি, সিপিআইএম নেতা সেই টুইটে লিখেছিলেন, ”কমরেড জ্যোতি বসু বিজেপিকে অসভ্য ও বর্বরদের দল বলেছিলেন। সাধারণ মানুষকেই রাজ্যে বিজেপির বর্বরতাকে আটকানোর দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা স্বামীজি ও রামকৃষ্ণকে পড়েছি। উনারা নিজের জীবন কালে কোনদিনই বলেননি যে নিজের ধর্মকে ভালোবাসো আর অন্য ধর্মকে ধ্বংস করে দাও।”
এই ঘটনায় মহম্মদ সেলিম দাবি জানিয়ে অভিযোগ করেন, এই টুইট করার পর তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপির আইটি সেল। বিজেপির এই অভিযোগে কে ভিত্তি করেই টুইটার তার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। টুইটারের বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় সেলিমের টুইটার হ্যান্ডেল। যদিও বর্তমানে আবার নিজের অ্যাকাউন্ট ফিরে পেয়েছেন সিপিআইএম নেতা।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম কে মহম্মদ সেলিম বলেন, “উৎসবের মরসুমে নোংরাভাবে হিংসাত্মক মনস্কতা ছড়াচ্ছে বিজেপি। এই বিষ ছড়ানো যাতে বন্ধ হয় সেই কারণেই আমি জ্যোতি বসুকে উদ্ধৃত করে সেই টুইট পোস্ট করি। আমরা স্বামীজি ও রামকৃষ্ণকে পড়েছি। উনারা নিজের জীবন কালে কোনদিনই বলেননি যে নিজের ধর্মকে ভালোবাসো আর অন্য ধর্মকে ধ্বংস করে দাও। বিজেপি বর্বর ও কাপুরুষ। যারাই সম্প্রীতির কথা বলতে আসছেন, তাদের জোর করে আওয়াজ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব করেও আমাদের থামানো যাবে না। ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি থেকে মানুষকে দূরে থাকতে হবে।”
 
			 





 Made in India
 Made in India