বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন প্রধান বিএস ধানোয়া (Birender Singh Dhanoa) বুধবার রাফাল লড়াকু বিমান গুলোকে ভারতে স্বাগত জানান। একই সঙ্গে, তিনি বলেছিলেন যে রাজনৈতিক বিতর্ক সত্ত্বেও, তিনি ক্রয় চুক্তিটি রক্ষা করেছেন কারণ তিনি এটি বোফর্সের (Bofors) মতো হতে দিতে চাননি। ১৯৮০ এর দশকে বোফোর্স চুক্তিতে ঘুষ নেওয়া হয়েছিল আর এরপর রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে খারাপ প্রভাব পড়ে। তখন থেকেই আমলারা প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার নির্ণয় নিতে ভয় পেতেন।

প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান ধানোয়া বলেন, আমি এই ক্রয় চুক্তি এইজন্য রক্ষা করেছিলাম, কারণ আমি চাইনি যে এই চুক্তিও বোফোর্স চুক্তির মতো হয়ে যাক। আমি প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক রুপ দেওয়ার বিপক্ষে ছিলাম, আছি আর থাকব। নাহলে বায়ুসেনার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠত। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে ফ্রান্সের সাথে ৩৬ টি রাফাল বিমান কেনার জন্য ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করে। আর এর প্রায় চার বছর পর ভারত রাফাল বিমানের প্রথম খেপ হাতে পায়।

ধানোয়া বলেন, ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য আমি খুব খশি, কারণ রাফাল বায়ুসেনাকে আমদের শত্রুদের বিরুদ্ধে অনেক শক্তিশালী করে তুলবে। আপনাদের জানিয়ে দিই, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বিএস ধানোয়া অবসর নেন, এরপর আরকেএস ভাদোরিয়া বায়ুসেনার প্রধানের দায়িত্ব পান। অবসর প্রাপ্ত এয়ার চীফ মার্শাল আরুপ সাহা বলেন, রাফাল বিমান ভারতের আসার পর বায়ুসেনার কয়েকগুণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে। অরুপ সাহা বলেন, বলেন, রাফাল সবথেকে আধুনিক এবং শক্তিশালী বিমান। উনি বলেন, কমকরে ১২৮ টি রাফাল বিমানের দরকার আমাদের।
আর এক প্রাক্তন এয়ার চীফ মার্শাল ফলি হোমী মেজর বলেন, নিঃসন্দেহে ৩৬ টি রাফাল বিমান ভারতের শক্তি বাড়াবে। কিন্তু কমপক্ষে আরও দুটি স্কোয়াড্রান দরকার ভারতের। আপনাদের জানিয়ে দিই, রাফাল নিয়ে প্রথমে ফ্রান্সের সাথে চুক্তি করেছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। আর কোন কারণে সেই চুক্তি সম্পূর্ণ হয়নি। এরপর এনডিএ সরকারের আমলে সম্পূর্ণ ভাবে রাফালের চুক্তি হয়ে যাওয়ার পর বিএস ধানোয়া কংগ্রেসকে ক্ষেপানর জন্য কংগ্রেস হেডকোয়ার্টারের সামনে রাফালের রিপ্লেকা লাগিয়েছিলেন।
 
			 





 Made in India
 Made in India