বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানকে (disha saliyan) ধর্ষণ করে খুন করা হয়। সেই ধর্ষণের কথা জানতে পেরে যাওয়াতেই খুন হতে হয় সুশান্তকেও। এমনই বিষ্ফোরক দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নারায়ণ রানে (narayan rane)।
তিনি বলেন, দিশাকে ধর্ষণ করে খুনের প্রমাণ তাঁর ময়না তদন্তের রিপোর্টেই পাওয়া যাবে। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হলেই অপরাধীদের ধরার রাস্তাও প্রশস্ত হবে বলে দাবি করেন নারায়ণ রানে। এর আগেই তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন ৮ জুন দিশা সালিয়ানের পার্টির আমন্ত্রিতদের বিষয়ে।
কিন্তু মুম্বই পুলিসের তরফে সাফ জানানো হয় ওই পার্টিতে কোনও রাজনৈতিক নেতা উপস্থিত ছিলেন না। তাতে দমে তো যানইনি উলটে নারায়ণ রানে দাবি করেন ১৩ জুনও একটি পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। দিশার ধর্ষণের বিষয়টা সুশান্ত জানতে পেরে যাওয়াতেই খুন হতে হয় তাঁকেও।

বিজেপি নেতার এই বক্তব্যের পর গুঞ্জন শুরু হয় সুশান্তের মৃত্যুর পেছনে মহারাষ্ট্রের কোনও রাজনৈতিক নেতা বা মন্ত্রীর হাত রয়েছে। সেই কারনেই মুম্বই পুলিস বিষয়টা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এরপরেই সুশান্ত মামলা নিয়ে মুখ খোলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরে।
আদিত্যর কথায়, সুশান্তের মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতির নোংরা খেলা চালু হয়েছে। গোটা মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সরকার যেভাবে করোনা পরিস্থিতি সামলেছে তার বিরুদ্ধে মানুষকে উসকে দিতেই এই অভিযোগ উঠছে বলে দাবি করেন আদিত্য।
পাশাপাশি আদিত্য আরও মন্তব্য করেন, বলি তারকাদের কারওর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকাটা দোষের কিছু নয়। তিনি এমন কিছুই করবেন না যাতে ঠাকরে পরিবার ও শিবসেনার নাম খারাপ হয়। তবে এরপর ফের আদিত্যকে কটাক্ষ করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। মহারাষ্ট্রে শাসকের গদি তিনি কিভাবে দখল করেছেন তা সকলেই জানেন বলে কটাক্ষ করেছেন কঙ্গনা।





Made in India