বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেশ কিছুদিন ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল দলের দূরত্ব স্পষ্ট।একটা সময়ে বাঁকুড়ায় দিদির সভা হলে সেখানে সবার আগে উপস্থিত থাকতো শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এখন মনমালিন্যের জেরে পাল্টে গিয়েছে পরিস্থিতি।
যদিও বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতার সঙ্গে সমস্ত মনমালিন্য মিটিয়ে নিতে চায় তৃণমূল। সে কারণেই ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে দলের প্রবীন সাংসদ সৌগত রায়কে শুভেন্দু অধিকারীর সাথে মিটমাট করার দায়িত্ব দিয়েছেন। দুই দফা বৈঠকের পরেও সিদ্ধান্ত হয়নি। শুভেন্দু অধিকারী নিজের দাবিতে অনড়।
গতকাল বাঁকুড়ার সভার শেষে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘একটা কথা বলতে চাই অনেকে ভাবেন বাঁকুড়া জেলার পর্যবেক্ষক কে! পুরুলিয়ার কে!মেদিনীপুর কে দেখবে! আসানসোল কে দেখবে! জলপাইগুড়ি কে দেখবে! আগে দলকে মেসেজ দিয়ে বলছি সারা বাংলায় আমি একজন কর্মী হিসেবে আমি এখন অবজার্ভার।’

‘প্রত্যেকটা ব্লক থেকে ব্লকে কে কি করছে!কে কার সাথে কন্ট্যাক্ট করছে, কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, প্রত্যেকটা হিসাব আমি এ টু জেট খবর রাখি। দল আমাকে এজন্য সাহায্যও করছে।’
এছাড়াও বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘টাকা দিয়ে তৃণমূল ভাঙাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের কর্মী বিধায়কদের দলে নিতে চাইছে। এব্যাপারে দু-একজনকে দেখতে পাবেন হয়তো তৃণমূল করেন আবার এদিক-ওদিক যোগাযোগ রাখেন। ভাববেন না দিদি জানেনা। দিদি ওদের ছেড়ে রেখেছে। ছাগলের একটা ছানাকে ছেড়ে রাখতে হবে তো!’






Made in India