বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোটে লড়ছেন ঠিকই। তবে নেহাতই তা শখ পূরণের জন্য। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন নির্বাচনে তিনি কখনই জিততে পারবেন না। তা সত্ত্বেও হেভিওয়েট প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তাঁর শখ। তিনি হলেন একুশের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের করণদিঘি কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী বিনয় কুমার দাস (Binoy Kumar Das)। যার সম্পত্তির বর্তমান বাজারমূল্য ৬৫০ কোটিরও অধিক। যার নাম প্রকাশ্যে আসতেই সবাই ভাবতে শুরু করেছিলেন তিনিই হয়তো রাজ্যের সবথেকে ধনী প্রার্থী।
এই বিনয় সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। কারণ তাঁর মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় উল্লেখ করেন ৬৫০ কোটি টাকার মালিক তিনি। থাকেনও নেহাতই একটি ভাড়া বাড়িতে। অথচ এই তিনিই নাকি একশো একর জমির মালিক। একেবারে সহজ সরল জীবনযাপন করা বিনয় জানিয়েছেন তাঁর এই সম্পত্তি পৈতৃক সুত্রে পাওয়া।

এবারের নির্বাচনে তিনি দুটি কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। করণদীঘি আসনের জন্য মনোনয়ন গৃহীত হলেও রায়গঞ্জের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে। এই শখ পূরণের নির্দল প্রার্থী (Independent Candidate) গনিখান চৌধুরী, প্রিয় রঞ্জন দাশমুন্সির বিরুদ্ধেও রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে ২২ এপ্রিল ওই বিনয় কুমার দাসের কেন্দ্র করণদীঘি ভোটগ্রহণ। এখন দেখার বিষয় তিনি শখ পূরণ করতে গিয়ে কটি ভোট পান।

বিনয় রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ার বাসিন্দা। তবে তাঁর সম্পত্তি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দেশের একাধিক রাজ্যে। এমনকি রায়গঞ্জে তো বটে এ রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে শুরু করে বাইরের রাজ্যেও তাঁর বাড়ি আছে। তবে তিনি থাকেন ভাড়া বাড়িতে একাই। কারণ তিনি বিয়ে করেন নি। তিনি জানান, বিয়ে না করাটাও তাঁর একটি শখ।

এই বিনয় বিপুল পরিমান সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্ত্বেও উত্তর দিনাজপুর জেলাশাসকের দফতরে করণিকের কাজ করে সংসার চালাতেন। পরে ২০০৫ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। তারপর বিলাসিতায় গা না ভাসিয়ে নেহাতই সহজসরল জীবন যাপন করতে থাকেন তিনি। তবে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা শখ বলে জানালেও, তিনি এও জানান যে, ভোটে লড়ার মাধ্যমেই মানুষের সাথে যোগাযোগ বেশি ভালভাবে রাখা যায়।





Made in India