বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বাড়ছে করোনার দাপট (Corona Outbreak)। নির্বাচন কমিশনের তরফে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশগুলিকে করোনার একটি বড় উৎসস্থল বলে দাবি অনেক আগেই করা হয়েছে। তদুপরি রাজ্যে ৮ দফার ভোটগ্রহণে রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের গা ছাড়া মনোভাব দেখা মিলছে। বুধবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। এমনকি মারণ ভাইরাস করোনার শিকার হয়েছেন সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক। এই পরিস্থিতিতে গতকালই সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
আগামী ১৬ এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার এই বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে রাজ্যের করোনার ভয়াল চিত্রের কথা মাথায় রেখে শাসকদল তৃণমূলের (TMC) তরফে বড়সড় প্রস্তাব দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল। জানা গিয়েছিল, তৃণমূলের তরফে রাজ্যের বাকি চার দফার নির্বাচন একদিনে করিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission)। শাসকদল মত ছিল, এতে করোনা প্রকোপ প্রতিরোধ করা যাবে এবং ভোটও মিটে যাবে।

কিন্তু এহেন পরিস্থিতিতে কি বাকি চার দফার ভোট একসঙ্গে হবে ? তা নিয়ে জল্পনার পারদ ক্রমশ বাড়ছিল। সেই জল্পনায় এবার ইতি টানল নির্বাচন কমিশন। আজই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে সব জল্পনা উড়িয়ে জানানো হয়, বাংলার বাকি চার দফার ভোট গ্রহণ একসঙ্গে অর্থাৎ একদিনে করার কোনও পরিকল্পনা নেই।
ইতিমধ্যে গতকালই বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যবাসীকে তাঁক লাগিয়ে দিয়েছিল বাম নেতৃত্বরা। বুধবার অলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বাম পালিট ব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম জানিয়েছিলেন, ‘রাজ্যে করোনার এহেন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই মিটিং মিছিল করছে সব রাজনৈতিক দলগুলি। সেখানে জড়ো হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ফলে ভয়াল আকার নিচ্ছে করোনা। তাই ভোটের আবহে বড় জমায়েত , রোড শো না করার সিদ্ধান্ত নিল বাম নেতৃত্ব। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, গুটিকয়েককে নিয়ে রাজনৈতিক সভা-মিছিল হবে এবং প্রার্থী তাঁর সাথে অল্প কয়েকজন দুয়ারে দুয়ারে প্রচারে যাবেন।





Made in India