বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত ১৭ মে থেকে ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে নারদ কান্ড। ২০১৪ সালে তোলা এই স্টিং ফুটেজে দেখা গিয়েছিল প্রকাশ্যে টাকা দিচ্ছেন তৃণমূলের একাধিক জনপ্রতিনিধি। ২০১৬ সালের নির্বাচনের ঠিক আগে এই ফুটেজ সামনে আসতেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল। ক্ষমতায় ফিরলেও শুরু হয় সিবিআই তদন্ত তার জেরেই গত ১৭ মে সিবিআই গ্রেপ্তার করে এই কাণ্ডে জড়িত অন্যতম চার শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। প্রথমে জামিন পেলেও পরে আবার সেই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।

এরপর ইতিমধ্যেই গড়িয়েছে বহু জল। একদিকে যেমন অসুস্থ বোধ করায় এসএসকেএম-এ ভর্তি হয়েছেন মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়রা। তেমনই অবশেষে বহু বাক-বিতণ্ডার পর দোষীদের গৃহবন্দী থাকার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। অবশেষে আজ অর্থাৎ ২৮ মে শর্ত সাপেক্ষে দোষীদের জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে। তবে তার আগে অবধি শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন চার অভিযুক্ত। তবে বিচারপতিদের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে মামলা বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোন কথা বলতে পারবেন না অভিযুক্তরা।

শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরতে পারলেও এখনই বাড়ি ফিরতে পারছেন না অসুস্থ মদন মিত্র। এসএসকেএম হাসপাতাল তরফে জানানো হয়েছে তার বুকে ধরপরানি এখনো রয়েছে। আর সেই কারণেই বুধবার সম্পূর্ণ পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরেই তাকে মুক্তি দেবে হাসপাতাল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে রিস্ক বন্ড দিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মদনের ক্ষেত্রে অসুস্থতা রয়েছে যথেষ্ট।

কোভিড পরবর্তী ক্ষেত্রে ফুসফুসের সংক্রমণ থাকায় এর আগে অক্সিজেনও দিতে হয়েছিল তাকে। বুধবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে এসএসকেএমের চিকিৎসকরা। খতিয়ে দেখা হবে তার রক্ত পরীক্ষা এবং এক্সরে রিপোর্ট। আর তার পরেই তাকে মুক্তি দিতে পারবেন চিকিৎসকরা। তিন হেভিওয়েট বাড়ি ফিরলেও এই মুহূর্তে হাসপাতালেই থেকে যেতে হচ্ছে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে।





Made in India