বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রিওর পর টোকিওতেও ফের একবার অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো অলিম্পিক। সেবার মিশরীয় খেলোয়াড় আল সেহাবি প্রতিযোগিতায় জয়ী ইজরায়েলি খেলোয়াড়ের সঙ্গে করমর্দন করতে অস্বীকার করেন এবং খেলা ছেড়ে বেরিয়ে যান। যার জেরে হয়েছিল যথেষ্ট সমালোচনা। ফের একবার টোকিওতে দেখা গেল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার ইজরায়েলের ইহুদি খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলা থাকায় প্রতিযোগিতায় নামতে অস্বীকার করলেন দুই মুসলিম খেলোয়াড়। যার জেরে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল অলিম্পিক কমিটি।
খেলার মাঠে এই নিন্দনীয় ঘটনা রীতিমতো সমালোচিত হচ্ছে সমস্ত মহলে। আলজেরিয়ার হয়ে জুডোতে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন ৭৩ প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন নুরীন ফাতেহি। আগের খেলা ড্র হওয়ার জেরে তার আগামী প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন ইজরায়েলের তৌহার বুতবুল। কিন্তু তার সঙ্গে খেলায় নামতে অস্বীকার করেন নুরীন।
তিনি সাফ জানান, “অলিম্পিকে আসার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি, কিন্তু আমার কাছে প্যালেস্টাইনের সমর্থন তার থেকে অনেক বড়।” তিনি আরও বলেন, “আমার খেলা ছিল একজন ইজরায়েলি প্রতিযোগীর বিরুদ্ধে, আর তাই আমার মতে আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেও ২০১৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে একই কারণে নাম তুলে নিয়েছিলেন এই খেলোয়াড়।
শুধু নুরীন নন একই বক্তব্য সুদানের খেলোয়াড় মোহাম্মদ আব্দলরসুলেরও। একইভাবে ইজরায়েলি প্রতিযোগীর সঙ্গে মাঠে নামতে অস্বীকার করেন তিনিও। তাদের এই কার্যকলাপে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ইন্টারন্যাশনাল জুডো ফেডারেশন। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, “এই ঘটনা আমাদের দর্শনের সম্পূর্ণ বিপরীত। আইযেএফ সর্বদা ধর্মীয় বৈষম্যমূলক আচরনের বিরোধীতা করে এসেছে। এটি জুডোর দর্শনেরও বিরোধী।”





Made in India