বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পালিয়ে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে (bangladesh) এসে আশ্রয় নিয়েছিল প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। তাঁদের কক্সবাজারের উখিয়ায় শিবির তৈরি করে রাখলেও, রক্ষা করতে পারল না বাংলাদেশ সরকার। ধস ও হড়পা বানে প্রাণ হারাল প্রায় ৬ জন রোহিঙ্গা সহ মোট ২২ জন।
প্রকৃতির বিরূপ অবস্থার কারণে টানা চারদিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের জনজীবন। কক্সবাজারে জেলার ৯ টি উপজেলার পাঁচশো গ্রামের অন্তত দুই লক্ষ মানুষ জলবন্দি হয়েছে পড়েছেন বর্তমান সময়ে। এমনকি বন্যা ও ধসে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২২ জন। তারউপর খাদ্য এবং পানীয় জলের সংকট তো রয়েইছে। রাস্তা ভেঙে গিয়ে বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছেন বহু মানুষ। প্রায় দশ হাজার রোহিঙ্গাকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর ইউএসএড সংস্থা এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক শাখা তাঁদের খাদ্য সরবহার করছে।

বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গত চার দিন ধরে প্রায় ৩৯২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বন্যার জল এবং ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৯ টি উপজেলার ৫২ টি ইউনিয়নে ৭৬ হাজার ৫০০ পরিবার। নিরাপদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ ছয়হাজার মানুষকে। তবে এখনও জলবন্দি রয়েছেন প্রায় দুই লক্ষেরও বেশি মানুষ।

আরও জানিয়েছে, অত্যাধিক বৃষ্টির ফলে নদী কূল ছাপিয়ে গিয়ে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে প্রায় ৭০টি গ্রাম। জলের তলায় চলে গিয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৭৫৯ হেক্টর চাষের জমি। তারউপর ধস নামায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। প্রাশাসনিক তরফ থেকে তাঁদের ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।





Made in India