বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ত্রিপুরায় (Tripura) জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (All India trinamool congress)। তবে তাঁদের জয়ের পথ যে মসৃণ হবে না, সেটা সকলেরই জানা। ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে হাতেগোনা ভোট পেয়ছিল ঘাসফুল শিবির। আর সেখান থেকে এক লাফে ক্ষমতা দখল যে সম্ভব নয়, সেটা তাঁরাও জানে। তবে, ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় তৃণমূলও। যেকোনও ভাবে ত্রিপুরায় বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে তাঁরা।
তবে ক্ষমতায় আসার জন্য কী চিরশত্রু বামেদের (CPIM) সঙ্গে জোট করবে তৃণমূল? এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছে। এমনকি ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার জোট করা নিয়ে ইঙ্গিতও দিয়েছেন। অন্যদিকে বঙ্গ এবং কেন্দ্রীয় সিপিএম জাতীয় স্তরে বিজেপিকে হারাতে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার জন্য এক পা এগিয়ে রেখেছে। আর এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) জোট নিয়ে বড় বয়ান দিলেন।

মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ‘বাংলার বামেদের সঙ্গে ত্রিপুরার বামেদের অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে পার্থক্য থাকলেও বামেদের সঙ্গে জোট হবে না। কিন্তু কেউ যদি আসতে চায়, তাহলে তাঁদের স্বাগত জানানো হবে।” ব্রাত্য বসুর এই বয়ানে আপাতত এটা স্পষ্ট যে, তৃণমূল ত্রিপুরায় বামেদের সঙ্গে জোটে যাচ্ছে না। তবে সিপিএমের কোনও নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়ে লড়াই চালাতে চাইলে, তাঁদের স্বাগত জানানো হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার বামেদের সঙ্গে ত্রিপুরার বামেদের চারিত্রিকগত পার্থক্য রয়েছে। ত্রিপুরার বামেরা বুঝতে পেরেছে যে, লড়াই একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলই করতে পারে। আমাদের সঙ্গে কেউ যুক্ত হতে চাইলে আসুক। আমরা কোনও জোটের আহ্বান করি না। বামেদের সঙ্গে আমাদের জোট হবে না। কিন্তু কেউ আসতে চাইলে তাঁকে স্বাগত জানানো হব।”
 
			 





 Made in India
 Made in India