বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে এখন রীতিমতো সমস্যায় গোটা দেশ। রান্নাঘর সামলাতে গিয়ে টান পড়েছে পকেটে। একদিকে করোনার কারনে আর্থিক মন্দা এবং অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় তেলের দাম এভাবে বাড়তে থাকায় সমস্যা বেড়েছে স্বাভাবিকভাবেই। তবে এবার এ বিষয়ে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্র সরকার। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বুধবার অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল ভোজ্য তেলের ওপর আমদানি নির্ভরতা কমাতে চায় ভারত। যার জন্য ইতিমধ্যেই ১১০৪০ কোটি টাকার পাম অয়েল মিশন প্রচলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এতে একদিকে যেমন উপর নির্ভরতা কমবে তেমনি আত্মনির্ভর হবে ভারত। অন্যদিকে কৃষকদেরও রোজকার বাড়বে।
এবার সাধারণ মানুষের ওপর অর্থনৈতিক বোঝা কমাতে সূর্যমুখী তেলের ওপরেও আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিলো কেন্দ্র। এক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ থেকে করা হল ৭.৫ শতাংশ। এর আগে অপরিশোধিত পাম তেলের ক্ষেত্রেও আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল মোদী সরকার। বর্তমানে মোট শুল্কের পরিমান ৩৮.৫০ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়ালো ৩০.২৫ শতাংশ। যদিও এই আমদানি শুল্ক হ্রাস শুধুমাত্র ৩০ সেপ্টেম্বর অবধিই লাগু থাকবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখন গোটা ভারতে বার্ষিক প্রায় ২৫ মিলিয়ন টন ভোজ্য তেল খরচ হয়। যার মধ্যে ১৫ মিলিয়ন টন ভোজ্য তেল আমদানি করা হয় বিদেশ থেকে। এর মধ্যে ভারত গত বছর ৫৫% শতাংশ ভোজ্য পাম তেল আমদানি করেছিল মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে। যার পরিমাণ প্রায় ৭.২ মিলিয়ন টন। এছাড়া ২.৫ লাখ টন সূর্যমুখী তেল আমদানি করা হয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে এবং প্রায় ৩৪ লাখ টন সোয়া তেল আমদানি করা হয়েছে ব্রাজিল থেকে।

এর থেকেই বোঝা যায় ভারতে ভোজ্য তেলের ব্যবস্থা কতখানি আমদানি নির্ভর। সেই কারণেই পাম অয়েল মিশনের মাধ্যমে দেশকে আত্মনির্ভর করে তুলতে চায় কেন্দ্র। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে শিল্প বৃদ্ধির জন্য ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত সহায়তা রাশি দেওয়া হবে। শুধু তাই নয় বাজারে যদি ফসলের দাম উঠানামা করে এবং তার কারণে কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হন, তাহলে ডিবিডি-র মাধ্যমে ফসলের উপযুক্ত দাম দিতে সহায়তা করবে কেন্দ্র।





Made in India