বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের আগে ডুবন্ত নৌকা মনে হয়েছিল তৃণমূলকে, কারণ দল ছেড়ে একের পর এক নেতারা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই ফের একবার নেমেছে দলবদলের ঢল। এবার গেরুয়া শিবির থেকে ঘাসফুলের পথে হাঁটছেন একের পর এক নেতা। যে মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন মুকুল রায়, তা এখন ধীরে ধীরে আরও বড় হচ্ছে। সেই সঙ্গেই ফাটল আরও চওড়া হচ্ছে গেরুয়া শিবিরে। এবার কার্যত ফাটল মেরামত করতে ছোটবেলার গল্পে পড়া হান্সের ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
জানা গিয়েছে, বুধবার বনগাঁ, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া তিন সাংগঠনিক জেলার সমস্ত বিধায়কদের সাথে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সূত্রের খবর অনুযায়ী তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন, দলের সঙ্গে বিধায়কদের কোন অসুবিধা তৈরি হলে বা মতানৈক্য তৈরি হলে দলের ক্ষতি করে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে পদত্যাগ করা যাবে না। তার আগে অবশ্যই জানাতে হবে বিরোধী দলনেতাকে। জানা গিয়েছে শুভেন্দু বাবু এও বলেছেন, অন্যান্য দল থেকে নেতা-নেত্রীরা এলে দলগত এবং মতামত গত সমস্যা তৈরি হতে পারে কিন্তু তাই বলে কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় আগে বিরোধী দলনেতার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে হবে, তিনি সমন্বয় সাধনের সমস্ত চেষ্টা করবেন।
তন্ময় ঘোষ বা বিশ্বজিৎ দাসদের বিজেপি বিধায়করা ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। আর তাই অন্যান্য বিধায়কদের সতর্ক করে শুভেন্দু জানিয়ে দিলেন প্রলোভন এলে কি করতে হবে? এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এও জানিয়েছেন আগে বিরোধী দল দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করেনি। কিন্তু তারা এক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেবেন না।

সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু বলেন, “গত ১০ বছরে পঞ্চাশের বেশি বিধায়ক দলবদল করেছেন। কিন্তু তৎকালীন বিরোধী দল তাদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগে করেনি। আমরা সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার্থে শেষ পর্যন্ত লড়ব। পদত্যাগ না করে দলবদল করেছেন যারা তাদের বিষয়ে যা করার করব।”





Made in India