বাংলাহান্ট ডেস্ক: আবারো মীর আফসার আলিকে (mir afsar ali) নিয়ে ‘ধর্ম দ্বৈরথ’ নেটপাড়ায়। শুধুমাত্র নিজ ধর্মের উৎসব পরবই না, হিন্দু খ্রিস্টান সব ধর্মীয় উৎসবেই শুভেচ্ছা জানান মীর। কখনো তাতে থাকে নিজস্ব রসিক মেজাজের ছোঁয়া, আবার কখনো আমজনতার মতোই সাধারন ভাবে শুভেচ্ছা বার্তা দেন মীর। কিন্তু বার্তা সাধারন হোক বা অসাধারন, ট্রোল মীরের নিত্যসঙ্গী।
ব্যতিক্রম হল না এবারেও। গণেশ চতুর্থীর শুভদিন উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মীর। গণপতির একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘শুভ হোক। সুস্থ থাকুন। গণপতি বাপ্পা মোরেয়া।’ আপাত দৃষ্টিতে খুবই সাধারন শুভেচ্ছা বার্তা। কিন্তু পোস্টের কমেন্ট বক্স খুললেই বিষম খেতে বাধ্য হবেন।

একের পর এক কটাক্ষ, আক্রমণে ভরে গিয়েছে কমেন্ট বক্স। বক্তব্য প্রতিবারের মতো একই। মুসলিম হয়ে হিন্দু উৎসবে কেন শুভেচ্ছা জানালেন মীর? কট্টরপন্থীরা রীতিমতো ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তাঁকে নীতিশিক্ষা দিতে। একজন লিখেছেন, ‘কোনো মুসলমান ব্যক্তিগত ভাবে মূর্তিপুজার প্রতি শুভেচ্ছা জানাতে পারেন না। তবে রাষ্ট্র অবশ্যই সহযোগিতা করতে পারে। ব্যক্তি না।’

আবার আরেক ব্যক্তির কটাক্ষ, ‘মীর কে মুসলিম ভেবে গালাগালি করার প্রয়োজন নেই।
জাস্ট মনে করুন, উনার নাম মীর চক্রবর্তী, নয়তো মীর ঘোষ। এটা মনে করে, সরে যান।
প্রত্যেকের কর্মফল দুনিয়ায় ও পরজীবনে সে অবশ্যই পাবে।’ একজনের মতে, ভারতে টিকে থাকার জন্যই এমন পোস্ট করতে বাধ্য হয়েছেন মীর। মন থেকে করেননি তিনি।


https://www.instagram.com/p/CToQhx3JQ49/?utm_medium=copy_link
তবে সকলেই যে মীরের বিপক্ষে এমনটা কিন্তু নয়। বরাবরের মতোই তাঁর মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই। যে ধর্মেরই হন না কেন, তিনি বারবার প্রমাণ করে দেন মানবতাই সবথেকে বড় ধর্ম। আবার মীরের ‘ফুডকা’ পুরো বিষয়টাই বেশ মজা হিসেবে নিয়েছেন। কমেন্ট বক্সে তাঁর মন্তব্য, ‘কমেন্ট পড়তে এসেছিলাম, পড়া হয়ে গেছে – এবার বাড়ি যাচ্ছি’। তবে যাকে নিয়ে এত আলোচনা সমালোচনা তাঁর কিন্তু কোনো পাত্তা নেই। কোনো ট্রোলেরই উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি মীর।





Made in India