বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রতিবছর ভাদ্র সংক্রান্তিতে পুজো করা হয় দেব বিশ্বকর্মার (vishwakarma)। তিথি নক্ষত্র অনুযায়ী অন্যান্য পুজো প্রতি বছর একই দিনে না পড়লেও, বিশ্বকর্মা পুজোর দিনটা কিন্তু খুব একটা হেরফের হয় না। প্রায় প্রতি বছরই ১৭ ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়।

সাধারণত এই পুজো করে থাকেন সূতার-মিস্ত্রি, স্বর্ণকার,কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প অর্থাৎ শিল্প কর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। লঙ্কা নগরীর নির্মাতা এই দেব বিশ্বকর্মাকে ঋগ্বেদ অনুযায়ী, পরম সত্যের প্রতিরূপ এবং সৃষ্টিশক্তির দেবতা হিসেবে গণ্য করা হয়।

এছাড়াও তিনি রামায়ণের কুঞ্জর পর্বতের ঋষি অগস্ত্যের ভবন, কৈলাস পর্বতে অবস্থিত কুবেরের অলকাপুরী, রাবণের লঙ্কা নগরী নির্মান করেছিলেন। নানারকম অলংকারে সজ্জিত একটি পুষ্পক রথও তৈরি করেছিলেন। কিন্তু সেই রথ কুবেরের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন লঙ্কেশ্বর দশানন রাবণ।

বিশ্বভুবনের নির্মাতা দেব বিশ্বকর্মা আবার বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকেয়র শক্তি প্রভৃতি অস্ত্রও তৈরি করেছিলেন। এমনকি শ্রীক্ষেত্র বা পুরীর প্রসিদ্ধ জগন্নাথ মূর্তিও তাঁরই তৈরি। এমনকি রামায়ণের আদিকান্ডে দুটি ধনুক তৈরি করে একটি মহাদেব শিবকে দিয়েছিলেন ত্রিপুরাসুর বধের জন্য এবং অপরটি বিষ্ণুকে দিয়েছিলেন।





Made in India