বাংলাহান্ট ডেস্ক: কিছু মানুষের ধর্মীয় সংকীর্ণতার জন্য বেশিরভাগ সময়েই ট্রোলের বলি হতে হয় খ্যাতনামাদের। সোশ্যাল মিডিয়ার আড়ালে লুকিয়ে নামজাদাদের উপর হাজারো বিধান জারি করতে দেখা যায় কট্টরপন্থীদের। ব্যক্তিগত আক্রমণ, সমালোচনা তো নিত্যসঙ্গী তারকাদের। এমনি এক ঘটনা ঘটল বাংলাদেশের মডেল তথা নৃত্যশিল্পী তথা সঞ্চালিকা বারিশা হকের (barisha haque) সঙ্গে। মুসলিম হয়ে শারদীয়ার প্রসঙ্গ তোলায় নজিরবিহীন আক্রমণ শানানো হয়েছে তাঁর উদ্দেশে।
ঘটনাটা খোলসা করে বলা যাক। এদিন নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক প্রোফাইলে দুটি ছবি শেয়ার করেছেন বাংলাদেশি শিল্পী। একটি গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থার বিজ্ঞাপন হিসেবে ছবি দুটি শেয়ার করেছেন বারিশা। একেবারে বাঙালি লুকে এদিন সেজে উঠতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

গাঢ় লাল টুকটুকে সুন্দর একটি শাড়ি পরেছেন বারিশা। সঙ্গে মানানসই গয়না, মেকআপ এবং সিঁথিতে সিঁদুর। তবে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে তাঁর পোস্টের ক্যাপশনটিও। বিতর্ক শুরুও এই ক্যাপশনকে ঘিরেই। বাংলাদেশি মডেল লিখেছেন, ‘এই পূজায় শারদীয় সাজে আলোকিত করুন নিজেকে।’

বারিশার পোস্টের ক্যাপশন দেখেই একরকম ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। ‘হিন্দু নাকি? জানতাম না তো!’ আপনি হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে নাকি? এগুলো থেকে বিরত থাকুন প্লিজ, এমনি সব কমেন্টে ভরে গিয়েছে তাঁর কমেন্ট বক্স।

একজন লিখেছেন, ‘আপু সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে নিজের ধর্ম কে এভাবে অপমান করলেন।বাহ!’ আবার আরেকজনের বক্তব্য, বারিশা আগেও আরেকবার এরকম কিছু লিখে পোস্ট করছিলেন। পরে আবার সরিও বলেছিলেন। তিনি বুঝতে পারছেন না বারিশা মুসলমান না হিন্দু। তবে কোনো কমেন্টেরই কোনো উত্তর দেননি বাংলাদেশি শিল্পী।

দিন কয়েক আগেই ওপার বাংলার আরেক অভিনেতাকে এমনি পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল। করুণাময়ী রাণী রাসমণির রাজচন্দ্র অর্থাৎ গাজী আব্দুন নূর নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘একখান ইটিশ পিটিশ প্রেম করতে মন চায়’। মজার পোস্ট, কমেন্টগুলিও বেশ মজার। কিন্তু এর মাঝেই একজন কমেন্ট করেন, ‘আপনি মুসলিম না হয়ে হিন্দু হলে আমি রাজি ছিলাম এই প্রেমের জন্য’। কমেন্টটি চোখ এড়ায়নি নূরের। উত্তরে তিনি লেখেন, ‘প্রেম তো অনেক দূরের কথা!! এমন মানসিকতার লোক আমার প্রোফাইলেও রাখতে চাই না।’





Made in India