বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শেষ হয়েছে প্রচারের সময়সীমা। বৃহস্পতিবারই উপনির্বাচন রয়েছে ভবানীপুরে। তবে তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) একটু চাপে রাখতে এক নয়া পন্থা অবলম্বন করলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের (Priyanka Tibrewal)। ঠিক করা হয়েছে, ভবানীপুরের (Bhabanipur) প্রতিটি বাড়ি বাড়িতে চিঠি পৌঁছে দেবে গেরুয়া শিবির।
ভোট পর্বে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চিঠি পৌঁছে দেওয়ার কৌশলটা বামেদের আমল থেকে চলে আসছে। সিপিএমকেই দেখা যেত ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চিঠি দিয়ে আসতে। তবে এখন বর্তমান সময়ে সেই পন্থাই অবলম্বন করছে রাজ্যের অন্যান রাজনৈতিক দলগুলো।

সময়ের সংকটে এবং নির্বাচন কমিশনের সমস্ত নিষেধাজ্ঞা মেনে ভবানীপুরের প্রতিটি বাড়িতে না পৌঁছাতে পারার কারণে, মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে এবং তাঁকেই ভোট দেওয়ার নাম করে দেওয়া গ্রিটিংস কার্ড ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ভবানীপুরের প্রতিটি ঘরে ঘরে।
এবার ভবানীপুরের প্রতিটি পরিবারকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল পদ্মশিবির। প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের আবেদন স্বরূপ এই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হবে, ভবানীপুরের বরাবরের তৃণমূলের কর্মী, সমর্থক থেকে শুরু করে সকল ভোটারের বাড়ি বাড়ি। জানা গিয়েছে, ইভিএম চিহ্ন দেওয়া এই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনিটি বিষয়ে হাতিয়ার করা হয়েছে। প্রায় চল্লিশ হাজার পরিবারকে এই চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও, শেষ মুহূর্তে ঠিক কতোটা করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।
এই চিঠিতে লেখা রয়েছে, ভবানীপুরের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে আপনাদের দেওয়া এক একটি ভোট, বাংলার মানুষের দুর্নীতির ভোগান্তি কমাতে সাহায্য করবে। মুখ্যমন্ত্রী যদি এই নির্বাচনে পরজাতি হন, তাহলে শাসক দল এবং প্রশাসনের অন্দর থেকে দুর্নীতি করার ইচ্ছে কিছুটা হলেও কমবে। আর এই নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী জয়ী হলে, তিনি ভবানীপুরের মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবেন।





Made in India