বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাশ্মীরে গত কয়েকদিন ধরে বড় একটি আশঙ্কার বিষয় হয়ে উঠেছে টার্গেট কিলিং। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদকে আরও বাড়ানো এবং মানুষের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করার জন্যই এধরনের টার্গেট কিলিং করানো হয়। ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট অনুযায়ী, এর পিছনে হাত রয়েছে বেশকিছু পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের। গত কয়েক মাস ধরেই এ সম্পর্কে একাধিক গোপন খবর এসেছে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। যার জেরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে।
কিন্তু তাতেও শেষ পর্যন্ত সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুকে ঠেকানো যাচ্ছে না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলো এ ধরনের কাজ সাধারণ সন্ত্রাসবাদীদের দিয়ে করায় না। এর জন্য নিয়োগ করা হয় পার্টটাইম বা হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের। এরা সাধারণত ছোট অস্ত্র বা পিস্তলের সাহায্যে আমজনতাকে টার্গেট করে এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে আবার সাধারণ জীবন যাপন করতে শুরু করে। যার ফলে এদের খুঁজে বের করা বেশ কঠিন কাজ। খবর অনুযায়ী গত দুদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৫ জন সাধারণ নাগরিকের।
এখন এই হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের সনাক্ত করতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার বলেছেন, “এ বছর এখন পর্যন্ত ২৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন যার মধ্যে ৫ জন স্থানীয় হিন্দু-শিখ সম্প্রদায়ের। অতীতে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের কারণে হতাশ হয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করেছে। এই আক্রমণগুলি নতুনদের দিয়ে করানো হচ্ছে। এদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে এবং আগামী দিনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই ঘটনায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে দিল্লিও। আগামীকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন কাশ্মীরের জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে। সুত্রের খবর অনুযায়ী, এই বৈঠকে কাশ্মীরে যেভাবে আমজনতাকে টার্গেট করা হচ্ছে সেই বিষয়েও আলোচনা করতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আগামী দিনে এই হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যাতে আরও কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেই বিষয়েও আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। কারণ গোয়েন্দাদের অনুমান, এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে আগামী দিনে কাশ্মীরের সন্ত্রাস আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা রীতিমতো ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে কাশ্মীরের সংখ্যালঘুদের মধ্যে।





Made in India