বাংলাহান্ট ডেস্ক: হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (jacqueline fernandez) মা। তড়িঘড়ি তাঁকে বাহরিনের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও জ্যাকলিন এখনি মায়ের কাছে যেতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার একটি মামলার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে জ্যাকলিনের নাম।
গত কয়েক বছর ধরে বাহরিনেই থাকেন জ্যাকলিনের মা কিম ফার্নান্ডেজ। সেখানেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অভিনেত্রীর মাকে। তবে তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিশদে কোনো খবর এখনো এসে পৌঁছায়নি।

গত বছরের শেষের দিক থেকে কার্যত শনির দৃষ্টি পড়েছে জ্যাকলিনের উপরে। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা মামলায় নাম জড়িয়ে একাধিক বার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জেরার মুখে পড়েছেন তিনি। জ্যাকলিনের অস্বস্তি আরো বাড়িয়ে চক্রের মূল পাণ্ডা প্রতারক ব্যবসায়ী সুকেশ দাবি করেছেন যে অভিনেত্রীর সঙ্গে তিনি সম্পর্কে ছিলেন।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জেল থেকে নিজের আইনজীবীকে একটি চিঠি লিখেছেন সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেখানেই তিনি দাবি করেছেন যে জ্যাকলিনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। সে কারণেই এত দামি দামি উপহার দিতেন তিনি অভিনেত্রীকে।
তবে জ্যাকলিনকে ফাঁসাননি সুকেশ। বরং ‘আদর্শ’ প্রেমিকের মতো তাঁর উপর থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, এই প্রতারণা চক্রে জ্যাকলিনের কোনো ভূমিকা ছিল না। এমনকি সুকেশ দাবি করেছেন ইচ্ছা করে বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীদের নিশানা করা হচ্ছে যাতে তিনি ভবিষ্যতে বিনোদন জগতে কোনো ব্যবসা করতে না পারেন।
অপরদিকে ইডির কাছে জ্যাকলিন স্বীকার করেছেন যে তিনি ২০১৭ থেকে চেনেন সুকেশকে। কিন্তু ২০২১ এর অগাস্টে তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ নেই তাঁদের। সুকেশের থেকে কোটি টাকার উপহারও নিয়েছেন জ্যাকলিন। সে সমস্তই আপাতত ইডির হেফাজতে।





Made in India