বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপিতে থাকার প্রায়শ্চিত্ত করতে কালীঘাটে এসে যজ্ঞ করে মাথা ন্যাড়া করিয়েছিলেন ত্রিপুরার বিধায়ক আশিস দাস। এরপর তৃণমূলও দল ভারী করতে তাঁকে দলে নিয়ে নেয়। দলবদল করলেও আশিসবাবু নিজের বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন না। কিন্তু উনি পদত্যাগ না করলেও ত্রিপুরা বিধানসভার স্পিকার রতন চক্রবর্তী ওনার বিধায়ক পদ খারিজ করে দেন।
স্পিকারের এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আশিস দাস। প্রাক্তন বিজেপির বিধায়ক স্পিকার রতন চক্রবর্তীকে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘উনি বিধানসভার অধ্যক্ষ থাকার যোগ্যই নন।” পাশাপাশি তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলায় একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের বিশাল জয়ের পর থেকে সুদূর ত্রিপুরায় আশিস দাসের বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়। এরপর থেকেই তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন দেবেন করছিলেন। আর কবার তো কলকাতায় এসে রীতিমত যজ্ঞ করে নিজের মাথা ন্যাড়া করিয়ে বিজেপিতে থাকার প্রায়শ্চিত্ত পর্যন্ত করেন তিনি।
তৃণমূল প্রথমে ওনাকে দলে নিতে একটু গড়িমসি করলেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আর আশিস দাসকে দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে দলে যোগ দেওয়ান খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকেই আশিসবাবু তৃণমূলে নানান কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন এবং তৃণমূলের সভাতেও থাকছেন।

জানা গিয়েছে যে, বিধায়ক থাকার যোগ্য নয় বলেই আশিস দাসের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার। অন্যদিকে, আশিসবাবু পাল্টা স্পিকারকেই কটাক্ষ করে বলেছেন যে, ‘আমি যদি বিধায়ক হওয়ার যোগ্য না হই, তাহলে উনিও স্পিকার হওয়ার যোগ্য নন।” দলত্যাগি আশিসবাবু এও বলেছেন যে, স্পিকার জলের মতো জামা বদলান। তিনি এও বলেন যে, এর আগেও একজন বিধায়ক দলত্যাগ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু আমার বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি এর শেষ দেখে ছাড়ারও হুমকি দেন।





Made in India