বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডের সবথেকে শক্ত খুঁটিগুলির মধ্যে অন্যতম প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (prosenjit chatterjee)। নিজেই তিনি আস্ত ‘ইন্ডাস্ট্রি’। নামীদামী অভিনেতা অভিনেত্রীরা যখন বলিউডে ছুটছেন তখন তিনি টলিউডেই রাজত্ব করে প্রমাণ করে দিচ্ছেন জনপ্রিয়তার জন্য হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজন নেই।
অবশ্য জনপ্রিয়তার এই পর্যায়ে পৌঁছাতে সময় কম লাগেনি প্রসেনজিতের। ধাপে ধাপে সাফল্যের সিঁড়ি চড়েছেন তিনি। আদ্যোপান্ত মশলাদার মেইনস্ট্রিম ছবি যেমন তাঁর ঝুলিতে রয়েছে তেমনি অন্য ধারার বহু ছবিও উপহার দিয়েছেন অভিনেতা। বাংলা সিনেমার দর্শক তাঁকে ‘পোয়েনজিৎ’ থেকে প্রসেনজিৎ হয়ে উঠতে দেখেছে।

হ্যাঁ, এক সময় এই নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন অভিনেতা। তাঁর হাঁটাচলা, সংলাপ বলার ধরনের মিমিক্রি হত। এখনো সেসব অব্যাহত থাকলেও সম্মানের জায়গাটা অনেক উঁচুতে নিয়ে গিয়েছেন প্রসেনজিৎ। বেশিরভাগটাই নিজের যোগ্যতায় এবং অবশ্যই সাহায্যও পেয়েছিলেন নিজের এক পরম বন্ধুর কাছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ বিষয়টা নিয়ে মুখ খোলেন। শুরুটা হয়েছিল ‘প্রতিবাদ’ ছবি থেকে। হরনাথ চক্রবর্তী পরিচালিত এই ছবিতে প্রসেনজিতের বিপরীতে ছিলেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। ছবির জন্য অ্যাকশন দৃশ্য করতে দক্ষিণ ভারত যেতে হয়েছিল প্রসেনজিৎকে। সেখানে গিয়ে শিখেছিলেন প্রযুক্তি। নিজের আদব কায়দা বলেছিলেন। তখনি জন্ম ‘পোয়েনজিৎ’এর।

কিন্তু তাঁকে ফের বদলে দিয়েছিলেন পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ। অভিনেতা বলেন, তাঁর নিজের মধ্যে যে আরেকটা প্রসেনজিৎ আছে তা তিনি জানতেনই না। ঋতুপর্ণ এসে যেন তাঁর চোখ খুলে দেন। দর্শকও চেনে এক নতুন ‘প্রসেনজিৎ’কে। ঋতুপর্ণ ঘোষের পর আরো এক গুণী পরিচালককে পাশে পেয়েছেন অভিনেতা।
তিনি সৃজিত মুখোপাধ্যায়। প্রসেনজিতের কথায়, “আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে সিনেমার ভাষা বদলাচ্ছে। তখনি সৃজিত আমাকে একটা ছবি দিল, নাম ‘অটোগ্রাফ’। তারপর বাংলা সিনেমার ধরনটাই বদলে গেল আর এই ধরনের ছবি হয়ে উঠল মেনস্ট্রিম।”





Made in India