বাংলাহান্ট ডেস্ক: ভারতের ‘নাইটিঙ্গেল’ লতা মঙ্গেশকরের (lata mangeshkar) মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে দেশবাসীকে। করোনা পরবর্তী জটিলতার কারণে ৯২ বছর বয়সে প্রয়ান হন সুরসম্রাজ্ঞী। তাঁর মৃত্যুর ঠিক আগের দিন হাসপাতালে দিদিকে দেখে এসে বোন আশা ভোঁসলে (asha bhosle) আশ্বাস দেন, স্থিতিশীল আছেন গায়িকা। কিন্তু তার পরদিনই এমন মর্মান্তিক খবর। বোন আশা ভোঁসলে নাকি ভেঙে পড়েছেন দিদির মৃত্যুতে।
অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলাপুরে আশার মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে। সম্পর্কে তিনি গায়িকা বোনেদের ভাগ্নি হন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পদ্মিনী বলেন, “মৃত্যু সবথেকে কঠিন সত্য এটা ঠিক, কিন্তু আমরা সত্যিই ভেবেছিলাম যে ওঁর কিচ্ছু হবে না। আমাদের সঙ্গেই উনি থাকবেন সবসময়। আমরা সকলেই বিধ্বস্ত।”

পদ্মিনী জানান, লতা মঙ্গেশকরের আদরের বোন আশা ভোঁসলে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন দিদির মৃত্যুতে। এর আগে যখন লতা জি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তখন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে আশা ভোঁসলে জানিয়েছিলেন, লতা জি তাঁদের পরিবারে মাতৃস্থানীয়। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ভগবান শিবের পুজো করা হচ্ছে গায়িকার বাড়িতে। তিনি যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন তার জন্য প্রার্থনা করছেন অনুরাগীরাও।
কিন্তু ব্যর্থ হয়ে যায় সমস্ত প্রার্থনা। গত ৮ জানুয়ারি করোনা উপসর্গ নিয়ে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। কিন্তু সেখান থেকে আর ফেরা হল না তাঁর। রবিবার সকালে প্রয়াত হন লতা মঙ্গেশকর। করোনা কাটিয়ে উঠলেও তার পরবর্তী জটিলতার জেরে একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু হয় গায়িকার।
রবিবার সকালে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। লতা মঙ্গেশকরের বোন উষা মঙ্গেশকর তাঁর মৃত্যুর খবর জানান সংবাদ মাধ্যমকে। রবিবারই বিকেলে শিবাজি পার্কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে বলিউডের নামীদামী ব্যক্তিত্বরা, প্রথম সারির তারকারা।





Made in India