বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাধারণত কারোর প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ থাকলে বা হঠাৎ করে কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমরা সবার প্রথমে পুলিশের দ্বারস্থ হই। সেখান থেকেই সঠিক পরিষেবা পেয়ে যান সাধারণ মানুষ। কিন্তু, শিক্ষকের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে থানায় হাজির হয়েছে এক খুদে পড়ুয়া এমন ঘটনা কি কখনও শুনেছেন?
শুনতে অবাক মনে হলেও সম্প্রতি এইরকমই এক ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি, এক্কেবারে বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়া। রীতিমতো থানার দরজা ঠেলে ঢুকেই পুলিশকে নিজের অভিযোগ জানিয়ে দেয় সে। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ অফিসারদের।
জানা গিয়েছে, থানায় ঢুকে অফিসারদের সামনে তেলেঙ্গানার মাহাবুবাবাদ জেলার বেয়ারাম মন্ডলের একটি বেসরকারি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র অনিল নায়েক জানিয়েছে, স্কুলের এক শিক্ষক তাকে মারধর করেছেন। পাশাপাশি, সে আরও জানায়, পুরো ক্লাসের মধ্যে শুধুমাত্র তাকেই মারধর করা হয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনার ভিত্তিতে পুলিশ ইন্সপেক্টর রমাদেবী, তাকে মারার কারণ হিসেবে জানতে চাইলে ওই খুদে পড়ুয়া সারল্যের সাথে জানায়, যেহেতু সে পড়া করে যায়নি তাই তাকে মেরেছেন ওই শিক্ষক। যদিও, শিশুটির অত্যন্ত নিষ্পাপ মানসিকতার এমন দাবিতে রীতিমতো “পিন ড্রপ সাইলেন্স” তৈরি হয়ে যায় থানার ভেতরে।
এমনকি, শিশু মনে মারধরের এই গভীর প্রভাব দেখে পুলিশ অফিসাররাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এদিকে, অনিলের এহেন অভিযোগ শোনার পর পুলিশ তাকে নিয়ে ওই স্কুলে যায়। পাশাপাশি, সেখানে তার অভিযোগের কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকেও জানায় পুলিশ। এছাড়াও, কতটা কষ্ট পেলে একজন খুদে পড়ুয়া সরাসরি থানায় গিয়ে শিক্ষকের গ্রেফতারের অভিযোগ তুলতে পারে তাও স্কুলকে বোঝানো হয়।
*Officer…..!!*
*Teacher Kottindi…!*
2nd class student complaint 😂@spmahabubabad జిల్లా
బయ్యారం మండల కేంద్రంలోని ఓ ఫ్రైవేట్ స్కూల్ లో విద్యార్థిని కొట్టిన టీచ్చర్ ..2వ తరగతి చదువుతున్న అనిల్ అనే విద్యార్ధి.#Hyderabad pic.twitter.com/7B6pvc0ZBs
— abhinay deshpande/అభినయ్ देशपांडे (@iAbhinayD) March 5, 2022
যদিও, তারপরেই মহিলা ইন্সপেক্টর শিশুটিকে আদর করে জানিয়ে দেন যে, আর তাকে কেউ মারবে না। কিন্তু, শিশুটি তখনও শিক্ষকের গ্রেফতারের প্রসঙ্গটি তুলতে থাকে। শেষে পুলিশ ইন্সপেক্টর জানান, “সবাইকে বকে দিয়েছি। কেউ আর তোমাকে মারবে না।” এদিকে, এই ঘটনায় রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে ওই এলাকায়।





Made in India