বাংলাহান্ট ডেস্ক: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Alia University) নিয়ে গত দুদিন ধরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তৃণমূলের ছাত্রনেতা গিয়াসুদ্দিন মণ্ডলকে লাগাতার কটুক্তি, গালিগালাজ করার ভিডিও এখন তুমুল ভাইরাল। এর মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে আরো একটি অডিও ক্লিপ যা নিয়ে নতুন করে কানাঘুঁষো শুরু হয়েছে।
ভাইরাল অডিও ক্লিপে দুজন ব্যক্তির কথোপকথন শোনা যাচ্ছে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে আলোচনার মাঝেই উঠে এসেছে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি (Golam Rabbani) এবং যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) নাম।

অডিও ক্লিপে উপাচার্য সম্পর্কে একটি কণ্ঠকে বলতে শোনা যায়, তিনি নিজেই উপাচার্যকে বের করে দেবেন। শুধু সঙ্গে আর একজনকে লাগবে। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে গোলাম রব্বানি ও ববিদার (ফিরহাদ হাকিম) সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। দুজনেই তাঁকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছিলেন। নতুন কোন উপাচার্য আসবেন। পুরনো জন এখন সায়নী ঘোষের মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছেন। এই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট।
যদিও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দাবি, অডিও ক্লিপে যে দুজনের কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে তাঁরা দুজনেই বিশ্বিদ্যালয়ের ছাত্র। এদের মধ্যে একজনের নাম জিম নওয়াজ। তিনি স্বীকার করেছেন যে ভাইরাল অডিওতে কণ্ঠস্বর তাঁরই। কিন্তু কথোপকথনটি আট মাস আগেকার। সে সময়ে আন্দোলন চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে এর কোনো যোগাযোগ নেই।

অডিও ক্লিপে নিজের নামের উল্লেখ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি সায়নী। তবে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, অডিও ক্লিপে যেমনটা দাবি করা হয়েছে তেমন কোনো নির্দেশই তিনি দেননি। জিম নওয়াজ ছাত্রনেতার নামে কলঙ্ক। নির্বাচনের সময় সংখ্যালঘু বিষয় নিয়ে এবং সম্প্রতি আনিস হত্যার পরেও তাঁর সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল জিম ফিরহাদ হাকিমের। কিন্তু এমন কোনো নির্দেশ তিনি কখনোই দেননি।
অন্যদিকে গোলাম রব্বানির প্রশ্ন, তাঁর কণ্ঠস্বর তো শোনা যায়নি অডিওতে। কেউ তাঁর নাম নিলে কী করার আছে তাঁর? একজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে কেন ষড়যন্ত্র করতে যাবেন তিনি?





Made in India