বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, বাংলার বুকে একের পর এক খুন কিংবা হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বর্তমানে পবিত্র রমজান মাস এবং নবরাত্রি উৎসবের মাঝেই মগরাহাটের মাগুরপুকুর এলাকায় গরুর হাটে দুই যুবককে নৃশংস ভাবে খুন করার ঘটনা সামনে আসছে। দিন দুপুরে খুনের ভয়ঙ্কর এই কাণ্ড দেখে গা শিউরে উঠেছে সকল এলাকাবাসীর।
শনিবার সকালে প্রতি সপ্তাহের মতোই মাগুরপুকুর এলাকায় গরুর হাট বসে এবং সেই হাটের মধ্যে আচমকাই শুরু হয় গণ্ডগোল। জানা যাচ্ছে, গরু কেনাবেচা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হঠাৎই বিবাদ সৃষ্টি হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে তা এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে, যে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয় সেখানে নিরাপত্তা ও নজর রাখার দায়িত্ব থাকা দুই সিভিক পুলিশ।
খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, বিবাদ শুরু হওয়ার পর এক যুবক এবং সিভিক পুলিশকে ধরে নিয়ে গিয়ে সেখানকার এক দোকানের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর দোকানের শাটার নামিয়ে দিয়ে প্রথমে সেই দুজনকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পরবর্তীতে তাদের গলার নলি কেটে দিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়।
নিহত বরুণ চক্রবর্তী সিভিক ভলেন্টিয়ার এর কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে এবং অপর নিহত ব্যক্তি মলয় মাখালও ওই এলাকারই বাসিন্দা। দুজনা একে অপরের বন্ধু বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সেখানে জড়ো হওয়া গ্রামের কয়েকশো মানুষ মিলে সেই গরুর হাটকে ঘিরে ফেলে এবং সেখানকার এক দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর। এরপর পুলিশের কাছে খবর গেলে স্থানীয় এসডিপিও বিশাল টিম নিয়ে সেখানে হাজির হলেও এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি তারা।
প্রসঙ্গত, এই মগরাহাট এলাকাটি হলো ডায়মন্ড হারবারের খুব কাছেই। জানা যাচ্ছে, মগরাহাটের এই গরুর হাটকে কেন্দ্র করে মারপিট কিংবা খুনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। বহু সময় এখানে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি লেগে থাকে। কিন্তু পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগ করা সত্বেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয় না বলেই জানিয়েছে স্থানীয়দের একাংশ। কিন্তু বর্তমানে সিভিক পুলিশ এবং এক ব্যক্তির খুনের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার পরই বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় পৌঁছে তদন্ত চালাচ্ছে বলে খবর।





Made in India