বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাঝরাতে হঠাৎ করে ঘরে লেগেছে আগুন! এদিকে, বাড়ির সবাই তখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। এমতাবস্থায়, নির্ঘাত বিপদের হাত থেকে সবাইকে বাঁচিয়ে দিল এক পোষ্য টিয়া পাখি। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমত অবাক হয়েছেন এলাকাবাসী। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আনন্দপুর থানা এলাকার চৌবাগার শ্যামবাদল পাড়াতে। এদিকে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঠিক কি ঘটেছে?
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, এই পুরো ঘটনাটির সূত্রপাত হয় বৃহস্পতিবার সকালে। মূলত, ওই এলাকার বিল্লা সর্দার ও লাট্টু-তুতুনদের দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছে। সেই বিষয়টিই মিটমাট করতে গিয়েছিলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি সুজয় মন্ডল ওরফে ভদাই। এমতাবস্থায়, সুজয় দাবি করেছেন যে, দুই পরিবারের ঝামেলা মিটমাট করার অপরাধেই তাঁর ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রাণ বাঁচাল “মিঠু”:
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে সুজয় মণ্ডল ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রীও ছিলেন ঘরে। সেই সময়ে হঠাৎ করে তাঁদের পোষ্য টিয়া পাখি “মিঠু” প্রবল চিৎকার করতে শুরু করে। এমনকি, একটা সময়ে ওই পাখিটির চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। আর তারপরেই বড় বিপদের টের পান তাঁরা।
বেড়ার ঘর থেকে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন তাঁরা। তারপরেই কোনোরকম ভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন সুজয় বাবু এবং তাঁর স্ত্রী। এই প্রসঙ্গে সুজয় বাবুর স্ত্রী জোৎস্না মণ্ডল জানিয়েছেন যে, মিঠুর চিৎকারেই ঘুম থেকে উঠে কোনোরকমে ঘর থেকে বেরিয়ে প্রাণে বাঁচেন তাঁরা। পাশাপাশি, বিপদের আঁচ বুঝে প্রিয় পোষ্য তাঁদের সতর্ক না করলে যে বড় বিপদ ঘটে যেত তাও মেনে নিয়েছেন তাঁরা। এক কথায়, কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে তাঁদের বাঁচিয়ে দিয়েছে “মিঠু”।

এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিল্লা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন সুজয়। আর তারপরেই পুরো বিষয়টির তদন্তে নামে আনন্দপুর থানার পুলিশ। শুধু তাই নয়, এখনও পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
 
			 
 
    




 Made in India
 Made in India