বাংলাহান্ট ডেস্ক: ছবির নামকরণ সার্থক। দর্শকদের প্রত্যাশা পূ্রণ করতে পুরোপুরি সক্ষম ‘অপরাজিত’ (Aparajito)। ‘কামাল’ দেখাচ্ছেন জিতু। এতদিন ধরে যা যা কষ্ট, পরিশ্রম তিনি করে এসেছেন সবটাই এবার সোনা ফলাচ্ছে। বাংলার পাশাপাশি এবার আরো ৮ রাজ্যে চলছে অপরাজিত।
গত ১৩ মে মুক্তি পেয়েছিল অনীক দত্তের অপরাজিত। শুরুতে মাত্র ২২ টি হলে মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। অন্যান্য বাংলা ছবির দাপটে নন্দনে তো শো পায়ইনি, এমনকি যে শোগুলি পেয়েছিল সেগুলির সময়ও বেশ অদ্ভূত ছিল। অনেক দর্শকই ছবিটি দেখার ইচ্ছা থাকলেও দেখতে পারবেন না বলে আফশোস করছিলেন।

আর এখন শোয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ টি। তাও ছয় দিনে। সপ্তাহের শেষে সংখ্যাটা ১০০ ছোঁবে বলেই আশাবাদী প্রযোজকরা। আগে বাংলার পাশাপাশি মুম্বইতেও দেখানো হচ্ছিল অপরাজিত। হাউজফুল চলছিল সেখানেও। এবার তালিকায় জায়গা পেল আরো বেশ কয়েকটি রাজ্য। তাদের মধ্যে রয়েছে ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, হায়দরাবাদ, উত্তরপ্রদেশ, আসাম, দিল্লি, গুজরাটের মতো রাজ্য।
দক্ষিণী ছবির বাড়বাড়ন্তের মাঝেই বাংলা ছবি সগৌরবে স্থান করে নিচ্ছে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে। অপরাজিতর সাফল্যে আপ্লুত প্রযোজক ফিরদৌসল হাসান। গোটা দেশ যখন তেলুগু, তামিল ছবির জয়জয়কার করছে, তখন দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বাংলা ছবি চলার গৌরবটাই অন্যরকম। প্রযোজকের কথায়, বাংলা ইন্ডাস্ট্রি আরো উন্নত হোক। শুধু তামিল, তেলুগু ব্লকবাস্টার ছবিগুলিই ব্যবসা করতে পারে না। বাংলাতেও ভাল বিষয় হলে সারা দেশ দেখবে বাংলা ছবি।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ব্লকবাস্টার কন্নড় ছবি ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’ কে ছাপিয়ে গিয়েছে এই ছবি। দুটি ছবির IMDb রেটিংয়ের মধ্যে বিশাল ফারাক। অপরাজিতর IMDb রেটিং এই মুহূর্তে ৯.৪। অন্যদিকে কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ এর রেটিং এখন ৮.৯।
সাম্প্রতিক কালের একাধিক বাংলা ছবি তো বটেই, দক্ষিণের ব্লকবাস্টার ছবিগুলিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে অপরাজিত। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে অপরাজিতর এই সাফল্য সত্যিই গৌরবের।





Made in India