বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ক্রমশ অস্বস্তি বেড়ে চলেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। অতীতে এই দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর পুত্র রাহুলের। পরবর্তীতে সেই মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা তলব করা হয় কংগ্রেস নেতাকে। তবে প্রথম কয়েকবার হাজিরা এড়ালেও গত সোমবার দিল্লির অফিসে পৌঁছে যান তিনি। এরপরেই সোম এবং মঙ্গল, পরপর দুই দিন ম্যারাথন জেরা করা হয় রাহুল গান্ধীকে। তবে বর্তমানে অস্বস্তি আরও বাড়তে চলেছে তাঁর।
জানা গিয়েছে, পরপর দু’দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর এদিন আবারও তাঁকে তলব করেছে ইডি। এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য কংগ্রেস নেতা মুখোমুখি হতে চলেছে গোয়েন্দা সংস্থার। গত সোমবার দিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পৌঁছে যান রাহুল গান্ধী। এরপর প্রায় নয় ঘণ্টা ধরে তাঁকে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। যদিও সোমবার রাতেই ইমেইলের মাধ্যমে মঙ্গলবার ফের একবার হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় রাহুলকে।
ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবার প্রায় 10 ঘন্টা ম্যারাথন জেরার মুখোমুখি হতে হয় রাহুল গান্ধীকে। তবে একাধিক প্রশ্নে কোন সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় এদিন ফের একবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে। বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের পর কোনো সন্তোষজনক উত্তর মেলে, নাকি পুনরায় একবার ডাকা হতে পারে রাহুলকে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা মেলেনি।

অপরদিকে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা একাধিকবার রাহুল গান্ধীকে তলব করার মাঝেই ক্রমশ বিক্ষোভ দীর্ঘতর হয়ে চলেছে কংগ্রেস কর্মীদের। সোমবার প্রথম তলবের সন্ধিক্ষণে কংগ্রেসের সদর কার্যালয় থেকে ইডি অফিসের পথে বিক্ষোভ দেখায় বহু কংগ্রেস সমর্থকরা। কংগ্রেস নেতাকে ঘিরে এক প্রকার সত্যাগ্রহ মিছিলের আয়োজন করে তারা। এরপর সেই বিশাল সংখ্যক জনতাকে আটকানোর জন্য আকবর রোডে মোতায়েন করা হয় বহু সংখ্যক পুলিশ, একই সঙ্গে 144 ধারা জারি করে দিল্লি পুলিশ। এমনকি, গতকাল কংগ্রেস কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে। ফলে এদিন সেই বিক্ষোভ আরও বৃহত্তর আকার ধারণ করবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।





Made in India