বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাকিস্তান ও শ্রীলংকার অর্থনৈতিক সংকট কারোরই অজানা নয়। কিছুদিন আগেই নিজেদেরকে দেউলিয়া বলে ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। হাঁড়ির হাল বেহাল পাকিস্তানেরও। এবার কি সেই পথেই চলছে বাংলাদেশের অর্থনীতি? অন্তত সরকারি কিছু নিষেধাজ্ঞা দেখে তেমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
দিনে প্রায় তিন ঘণ্টা করে লোডশেডিং থাকবে ঢাকা শহরে সহ আশেপাশের এলাকা গুলিতে।ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (DPDC ) এখনই তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী এলাকা গুলিতে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে লোডশেডিং করছে। কিছু জায়গায় আবার দুই ঘন্টা করে লোডশেডিং হবে বলেও জানিয়েছে তারা।
পাশাপাশি Dhaka Electric Supply Company Limited (Desco) জানিয়েছে, তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলিতে প্রতিদিন প্রায় তিন ঘন্টা করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। কবে কখন কোন এলাকাগুলিতে লোডশেডিং হবে সেই বিষয়ে একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে তারা। সেই তালিকায় আছে আগরগাঁও, বারিধারা এবং গুলসানের মতন গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিও।
প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে লোডশেডিং শুরু করছে ডিপিডিসি।তবে ডেসকো অবশ্য রাতদিন মিলিয়ে লোডশেডিং করছে। প্রথমদিকে এই দুই সংস্থাই প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করতো।ডিপিডিসির একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিদ্যুতের লোডের চাহিদার উপর ভিত্তি করে লোডশেডিং এর সময় কমতে বা বাড়তে পারে।বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নাসরুল হামিদ জানিয়েছেন, জ্বালানি সাশ্রয় করতে এই সিদ্ধান্ত। আগামী দুই মাস এই সংকট চলবে বলেও জানান তিনি।
কবে কোথায় কখন এই লোডশেডিং হবে তার তালিকা প্রকাশ করেছে ডিপিডিসি ও ডেসকো।
দেশে বিদ্যুৎ বাঁচাতে ও জ্বালানি সংরক্ষণের জন্য ইতিমধ্যেই সপ্তাহে একদিন করে বন্ধ থাকছে পেট্রোল পাম্প। বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপাতত ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনও বন্ধ থাকবে দেশে।
পাশাপাশি ডেসকো তার গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে বলেছে। তারা জানিয়েছে, অফিসে যাতে এসির ব্যবহার সীমিত পরিমান করা হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে। এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির উপর রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘরে না থাকলে আলো ,পাখা ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক সামগ্রী বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নির্দেশে বলা হয়েছে সকাল বেলা বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবহার কম করে সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করিয়ে কাজ চালাতে।





Made in India