বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিতর্ক যেন কিছুতেই পেছন ছাড়ছেনা টেটের (TET)। বিগত কিছুমাস ধরে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে ধুন্ধুমার অবস্থা রাজ্য জুড়ে। একদিকে মহানগরীর রাজপথে অনশনরত অবস্থায় চাকরিপ্রার্থীদের ভীড়। অন্যদিকে আদালতে চলছে একের পর এক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা। তবে সমস্ত তর্ক-বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ পাঁচবছর পর গত ১১ ডিসেম্বর রাজ্যে প্রাইমারি টেট পরীক্ষার আয়োজন করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তবে এতেও বাঁধে বিতর্ক।
চলতি মাসেই সম্পন্ন হয়েছে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। আর তাতে হাতে শাঁখা-পলা পরে পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়েন এক গৃহবধূ (House Wife) টেট পরীক্ষার্থী। শাঁখা-পলা পরে যাওয়ায় তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ। এখানেই শেষ নয়। সেই ঘটনা এবার গিয়ে পৌঁছালো এক্কেবারে কলকাতা হাইকোর্টে। দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।
প্রসঙ্গত, অভিযোগকারী মহিলা পরীক্ষার্থীর নাম মৌমিতা চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, শাঁখা-পলা খুলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছিল তাঁকে। হিন্দু বিবাহিত মহিলা হয়ে সেই নির্দেশ মেনে নিতে পারেননি তিঁনি। এরপর আর পরীক্ষায় বসা হয়নি মৌমিতার। তিঁনি আরও বলেন, তাঁকে এই হেনস্থার অভিযোগেই হাই কোর্টের জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন তিঁনি।
এবিষয়ে মামলাকারীর তরফে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদিকা পারমিতা দে’র অভিযোগ, যাঁরা শাঁখা-পলা খোলেননি তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কমিশনের সেই সিদ্ধান্ত মতোই টেট পরীক্ষা দিতে পারেননি মৌমিতা। তাঁর যে ক্ষতি হল তা কে মেটাবে?

এই অভিযোগ তুলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান (Chairman) গৌতম পালের বিরুদ্ধে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মামলাকারী। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।





Made in India