বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এইমুহূর্তে তিনি রয়েছেন সব খবরের শিরোনামে। বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করার পর থেকেই তাকে নিয়ে চর্চার অভাব নেই। গোটা বিশ্বের সমস্ত ফুটবলপ্রেমীরা তাকে নিয়ে আলোচনা করছেন। যারা নিয়মিত ফুটবল দেখেন না শুধুমাত্র বিশ্বকাপ বা এরকম কোনও বড় ইভেন্টের সময়েই টিভির পর্দায় চোখ রাখেন, তারাও মুগ্ধ এমবাপ্পের গতিতে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে যখন ফ্রান্স পিছিয়ে পড়েছিল প্রথমার্ধে তখন এমবাপ্পেকে বেশ কিছুটা সময় ধরে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে এবং দ্বিতীয়ার্ধেরও বেশ কিছুটা সময় ধরে তাকে নড়াচড়া করার সুযোগ দেয়নি আর্জেন্টাইন ডিফেন্স।
এমন পরিস্থিতি থেকে তিনি ফ্রান্সকে নিয়ে গিয়েছিলেন টাইগার অবধি। নিজেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন, টাইব্রেকারে এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় পেনাল্টি শুট আউটের নিরীখে সবচেয়ে দক্ষ গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজকে পরাস্ত করেছিলেন। কিন্তু তার দলের সাথীরা বা ভাগ্য তাকে পুরোপুরি সঙ্গ দেয়নি। সান্তনা হিসেবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলসংগ্রাহক হওয়ার পুরস্কার স্বরূপ গোল্ডেন বুটটি জিততে পেরেছেন তিনি।

ফাইনাল হারের কিছু সময় পরে প্রকাশ্যে এসেছে যে মাত্র ২৪ বছর বয়সী এমবাপ্পে ফ্রান্সের ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের উদ্বুদ্ধ করার কাজটাও করেছেন। তিনি এখনো বয়সে তরুণ, অনেকেই তার মানসিকতার জন্য তাকে বেশ কিছু সময় সমালোচনা করে থাকেন যার মধ্যে কিছু কিছু সমালোচনা হয়তো সত্যিই ন্যায্য। কিন্তু এমবাপ্পে এই বয়সেই নিজেকে একজন নেতার পর্যায়ে তুলে নিয়ে গিয়েছেন যিনি শুধুমাত্র পারফরম্যান্স করেই সন্তুষ্ট থাকেন না বরং সতীর্থদেরও সমানে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
ড্রেসিংরুমে প্রথমার্থ শেষ এরপর ২-০ ফলে যখন ফ্রান্স পিছিয়ে তখন সতীর্থদের উদ্দেশ্যে এমবাপ্পে বলেন, “বন্ধুগণ, আমরা এতক্ষণ যা খেলেছি এর চেয়ে আর খারাপ খেলা সম্ভব নয়। এটা বিশ্বকাপ ফাইনাল, এরকম সুযোগ জীবনে বারবার আসে না। আমাদের মাঠে আরও লড়াকু মনোভাব নিয়ে নামতে হবে, আমাদের ম্যাচে ফিরতেই হবে এবং আমরা অবশ্যই ফিরবো।” তার এই বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে ফ্রান্স দ্বিতীয়ার্ধে মানসিকভাবে চাঙ্গা হয়ে মাঠে নামেন এবং ফ্রান্স কোচও নিজের স্ট্র্যাটেজিতে কিছু পরিবর্তন আনেন, যার ফলস্বরূপ ফ্রান্স লড়াইটা টেনে নিয়ে যেতে পেরেছিল টাইব্রেকার অবধি।





Made in India