বাংলাহান্ট ডেস্ক: আড়াই বছর পর আবারো চর্চায় সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput)। তাঁর মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ নিয়ে ফের শুরু বিতর্ক। কুপার হাসপাতালের এক কর্মচারী সম্প্রতি দাবি করেছেন, সুশান্ত আত্মহত্যা করেননি, বরং খুন হয়েছেন। রূপকুমার শাহ নামে ওই ব্যক্তিই ময়না তদন্ত করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতার মরদেহের। তাঁর এই বিষ্ফোরক দাবির পর একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছেন সুশান্তের দিদিরা। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন রিয়া চক্রবর্তীও (Rhea Chakraborty)।
সুশান্তের মৃত্যুর পর সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা রিয়া। সবথেকে বেশি চর্চাও হয়েছিল তাঁকে নিয়ে। অভিনেতাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া, প্রতারণা এবং মাদক সরবরাহ করার অভিযোগে জেলও খাটতে হয়েছিল রিয়াকে। এখন সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হওয়ায় ফের লাইমলাইট গিয়ে পড়েছে তাঁর উপরে।

সুশান্তের মৃত্যু যদি খুন হয় তাহলে ফের বিপদে পড়তে পারেন রিয়া। আবারো হয়তো জেলের ঘানিও টানতে হতে পারে তাঁকে। উপরন্তু রিয়ার সাম্প্রতিক একটি পোস্ট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে জল্পনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘তুমি আগুনের মধ্যে দিয়ে হেঁটেছো, বন্যা থেকে বেঁচেছো, দানবদের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতেছো। এরপর কোনোদিন নিজের ক্ষমতার উপরে সন্দেহ করলে এটা মনে রাখবে।’

সুশান্তের ময়না তদন্তকারী জানান, সুশান্ত যেদিন মারা যান সেদিন একসঙ্গে পাঁচটি মৃতদেহ এসেছিল কুপার হাসপাতালে। তার মধ্যে একটি ছিল ভিআইপি বডি। ময়না তদন্ত করার সময় চিকিৎসকেরা জানতে পারেন যে সেটা সুশান্তের মরদেহ। তিনি দাবি করেন, প্রয়াত অভিনেতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। দু চারটে দাগ ছিল তাঁর গলাতেও। ভাঙা ছিল সুশান্তের পা, চোখে ছিল ঘুষি মারার দাগ। ওই ব্যক্তির প্রশ্ন, হাতে পায়ে আঘাত নিয়ে কেউ কীকরে আত্মহত্যা করতে পারেন?
সুশান্তের মৃতদেহ দেখা মাত্রই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে ওটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। সুশান্ত খুন হয়েছেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নিজের সিনিয়রদের জানিয়েছিলেন। নিয়ম মেনেই সবটা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাধা পান তিনি। তাঁকে বলা হয়, শুধুমাত্র কয়েকটা ছবি তুলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিসের হাতে দেহ তুলে দিতে। প্রয়াত অভিনেতার বাবা সম্প্রতি দাবি করেছেন, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পরিবার তাঁর ছেলের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত।





Made in India