বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘রুই-কাতলা-ইলিশ তো নয়/ হায় রে কী যে করি/জাল টানলাম, জলের থেকে উঠল যে…’। কিন্তু, জলের থেকে উঠল কী ? এক কিলো বা দু কিলো নয়, ২০০ কিলোর এক হাঙর। অতিকায় এই হাঙর (Shark) জালে ধরা পড়তেই রবিবাসরীয় সকালে রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে। আর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দিঘা (Digha) মোহনায়। বিশালাকার এই হাঙর দেখতে ভিড় করেছেন আট থেকে আশি সকলেই।
সূত্রের খবর, আইনগতভাবে হাঙর বিক্রি নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এদিন মাছটিকে মোহনার নিলাম কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। এতবড় হাঙরকে সামনে দেখে ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সকলেই। বিশাল বড় সাইজের এই মাছটিকে দেখার পরেই বহু মানুষ হাঙরটিকে কিনতে আগ্রহী হয়ে পড়েন। এমনকি, হুড়োহুড়ি পড়ে যায় হাঙর কেনার জন্য। শেষমেশ অবশ্য, হাঙরটির মূল্য ধার্য করা হয় ২৯ হাজার টাকা।
কলকাতার একটি বড় সংস্থার পক্ষ থেকে হাঙরটি কেনা হয়েছে বলেই খবর আছে। হাঙর ধরা ও বেচাকেনা করা দণ্ডনীয় অপরাধ বেশ কয়েকবছর ধরেই। তারপরেও দিঘা মোহনায় ক্রমাগত হাঙর ধরে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। দিঘার মোহনায় ছোট, বড় নানান সাইজের হাঙর বিক্রি করা হয় বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু, আসল প্রশ্ন হল ঠিক কী কাজে লাগে এই হাঙর?

জানা গিয়েছে, অন্যান্য অনেক মাছের থেকেই তুলনামূলক কম দামে হাঙর মাছ পাওয়া যায়। ফলে, যেখানে ভেটকি বা ওই জাতীয় দামি মাছ ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে সেখানেই এই কম দামী হাঙর মাছগুলোকে ব্যবহার করা হয়। হোটেল ও রেস্তরাঁর বাহারি রান্নায় হাঙর ব্যবহার করে গ্রাহকদের বোকা বানানো হয় বলে অভিযোগ। ফিশ কাটলেট, চিলি ফিশ-সহ মাছের রকমারি পদ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এই হাঙর।





Made in India