বাংলাহান্ট ডেস্ক: শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় (Subhashree Ganguly) এবং ট্রোল একে অপরের পরিপূরক। তিনি যা করেন, যা-ই বলেন সবকিছুই হাসির খোরাকে পরিণত হয় নেট পাড়ায়। অট্টহাসি থেকে বিটকেল জুতোর মাপ, শুভশ্রী সবসময়ই থাকেন নেটিজেনদের আতশ কাঁচের তলায়। পান থেকে চুন খসার অপেক্ষা থাকে শুধু, সঙ্গে সঙ্গে খুঁত ধরতে ঝাঁপিয়ে পড়েন নিন্দুকরা। এমনকি এক এক সময়ে অদ্ভূত সব কারণে ট্রোলের মুখে পড়েন অভিনেত্রী। এবারেও ঘটেছে তেমনটাই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভশ্রীর উপস্থিতি লক্ষণীয়। প্রচুর ফটোশুট করেন তিনি। সে সব ছবি শেয়ার করে নেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি একটি ফটোশুটের জন্য সেজেগুজে বাসনের দোকানের মধ্যে ঢুকে ছবি তুলতে দেখা যায় শুভশ্রীকে। তাঁর পরনে একটি পাউডার ব্লু রঙের শাড়ি ও গোলাপি ব্লাউজ। সঙ্গে মানানসই সাবেকি গয়না।

এতদূর সবটাই ঠিক ছিল। গোল বাঁধল ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে। একটু হটকে ফটোশুট করতে একটি বাসনের দোকানে ঢুকে পড়লেন শুভশ্রী। চতুর্দিকে হাঁড়ি, কড়াই, হাতা, খুন্তির মাঝে দাঁড়িয়ে লেন্সবন্দি হলেন তিনি। কিন্তু শুভশ্রী ভেবেছিলেন এক আর হল আরেক। বেশি বৈচিত্র্য আনতে গিয়ে ট্রোলের শিকার হলেন অভিনেত্রী।
নেটিজেনরা ‘বাসনওয়ালি’র তকমা দিলেন শুভশ্রীকে। কারোর আবদার, গামলা দেখান। কারোর দাবি, বাসন ডেলিভারি সিস্টেম আছে? একজন আবার অভিযোগ করেছেন, দক্ষিণী অভিনেত্রী কাজল আগরওয়ালকে নকল করেছেন তিনি। কিন্তু শুভশ্রীর ছবির এডিটিং ভাল হয়নি।
কিছুদিন আগে একটি নাচের রিল ভিডিও শেয়ার করে ট্রোলড হয়েছিলেন শুভশ্রী। বসার ঘরের আসবাব সরিয়ে ট্রেন্ডিং ‘টাম টাম’ গানে কোমর দোলাতে দেখা গিয়েছিল শুভশ্রীকে। সঙ্গে অবশ্য ছিলেন তাঁর দিদি দেবশ্রী এবং আরো দুই মহিলা। আর সবার মধ্যমণি ছিল পুঁচকে ইউভান। শুভশ্রীর পরনে ছিল একটি কালো টিশার্ট এবং ডেনিম হট প্যান্ট। অন্যদিকে সাদা কালো স্ট্রাইপ শর্ট ড্রেসে দেখা মেলে দেবশ্রীর।
কিন্তু শুভশ্রীর নাচ দেখে মোটেই খুশি হননি নেটিজেনরা। একজন ব্যঙ্গের সুরে লিখেছিলেন, ‘নাচতে জানে না, আবার ডিবিডির বিচারক হয়েছে’। কারোর মতে, তার বোন এদের থেকে ভাল নাচে।





Made in India