বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Pariksha) শেষ দিনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিষ্ণুপুর মিশন হাইস্কুল। সেখানেই সিট পড়েছিল বিষ্ণুপুর শহরের কে এম হাইস্কুলের। পরীক্ষাকেন্দ্রের তরফে পড়ুয়াদের বিশৃঙ্খলার কথা জানানো হতেই সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন কে এম হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক। শুধু তাই নয়, নিজে স্কুলের ছাত্রদেরকে করা ধমকও দিয়েছিলেন। আর তারপরেই বাধল বিপত্তি।
জানা গিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের বকাবকি করতেই রীতিমতো মারধর ও খুনের হুমকি দেওয়া ওই সহকারী প্রধান শিক্ষককে। পড়ুয়াদের (Students) পাশাপাশি তাদের অভিভাবক-অভিভাবিকারাও টেলিফোনে খুনের হুমকি দিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এরপরেই ওই শিক্ষক নিজের প্রাণের ভয়ে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিষ্ণুপুর (Bishnupur) শহরে।
কে এম হাইস্কুলের সহকারী ওই প্রধান শিক্ষকের নাম সঞ্জীব সরকার। নিজের স্কুলের পড়ুয়াদের অন্য স্কুলে গিয়ে বেয়াদবি বরদাস্ত করতে না পেরে তিনি পড়ুয়াদের ধমক দেন। এমনকি, দু-একজন পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডের ছবি নিজের মোবাইলে তুলে রাখেন বলেও জানা গিয়েছে। আর এতেই এক পরীক্ষার্থী ক্ষেপে ওঠে। তিনি বলেন, “ছাত্রদের শাসন করতে গিয়েছিলাম। তারজন্য এমন হুমকির মুখে পড়তে হবে ভাবতেই পারিনি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”

সূত্রের খবর, ওই পরীক্ষার্থী পরে স্কুলে গিয়ে সঞ্জীববাবুকে অশ্লীল ভাষায় অপমান করেন। এরপর সঞ্জীববাবু ওই পড়ুয়ার মা-বাবাকে ঘটনাটি জানানোর চেষ্টা করলে হিতে বিপরীত হয়। তারাও টেলিফোনে শিক্ষককে কড়া ভাষায় হুমকি দেন। যদিও, অভিযুক্ত পরীক্ষার্থী ও তার পরিবারের দাবি, পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও ভাঙচুর হয়নি। শুধুমাত্র পুরনো শত্রুতার জেরে ওই শিক্ষক অ্যাডমিট কার্ডের ছবি তুলে দেখে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলে তারাও রাগের বশবর্তী হয়ে এমন কাজ করে ফেলেন।





Made in India