বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত সোমবারেই ইডির (Enforcement Directorate) হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়েছে বীরভূমের একসময়ের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। এরপরেই কেষ্টকে ১৩ দিনের জন্য তিহাড় জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দিল্লীর আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, শেষ পর্যন্ত অনুব্রতর তিহাড় জেলে (Tihar Jail) ঠাঁই পাওয়ার ঘটনাটিকে শাসক দলের তরফে লঘু করেই দেখানো হচ্ছে।
যে কেষ্ট জেলে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সভায় বলেছিলেন, ‘ওকে বীরের সংবর্ধনা দিয়ে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনতে হবে’; সেই শাসকদলেরই কেষ্টকে তিহাড় জেলে থাকতে হবে জেনেও একপ্রকার দায় এড়িয়ে যেতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই, শাসকদলের নেত্রী তথা শ্যামপুকুরের বিধায়ক শশী পাঁজা বলেন, ‘একজন মন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছিল দল, জেলা সভাপতি তো ছোট ব্যাপার।’
তবে, এখানেই থেমে থাকেননি শশী পাঁজা। তিনি আরও জানান, ‘এই দল সেই দল, যারা একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। যিনি এখন জেলে আছেন। তা করা হয়েছিল খুব তাড়াতাড়ি।’ পাশাপাশি তার সংযোজন, কেউ পদে থেকে যদি দুর্নীতি করেন তার দায় পার্টির নয়। কারণ পার্টি তাঁকে চুরি করতে বলেনি।
এদিকে, বীরভূমের এই তৃণমূলের নেতা জেলে ৪টি পোঁটলা নিয়ে যেতে চান বলে এদিন আদালতে আবেদন জানান। স্বাভাবিকভাবেই গুঞ্জন উঠতে শুরু করে, কী রয়েছে সেই পোঁটলাতে? এরপরেই পোঁটলার ভিতরের রহস্য ফাঁস হয়। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের জানানো হয়, অনুব্রতর ওষুধপত্র ও কিছু জিনিস রয়েছে ওই ব্যাগে। বিচারক জানিয়েছেন, জেলে তিনি কী কী ওষুধ ও জিনিস নিয়ে যেতে চাইছেন তা বিস্তারিত জানাতে হবে জেল কর্তৃপক্ষকে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হাইকোর্ট, দিল্লি কোর্ট ঘুরে সুপ্রিম কোর্টেও দিল্লি যাত্রা এড়ানোর জন্য আবেদন করেন অনুব্রত। তবে, শেষপর্যন্ত লাভ কিছুই হয় নি। মামলায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে। তারপর এখন তিহাড় জেলেই রয়েছেন গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত এনামুল হক, সায়গল হোসেন, মণীশ কোঠারিরাও। এখন পর্যন্ত অনুব্রতকে নিয়ে মোট পাঁচজন তিহাড় জেলে গেলেন।





Made in India