বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক বড় নাম। শিক্ষক কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে ‘হেভিওয়েট’ অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একই ইস্যুতে জেলবন্দি পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে হুগলীর দুই প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ও শান্তনু থেকে শুরু করে আরও অনেকে।
সম্প্রতি বঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের গতি বাড়াতে ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় এসেছেন ৭ সিবিআই তদন্তকারী অফিসার। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বারংবার ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে’র তত্ত্ব শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখে। রহস্যের কিনারা করতে চলছে তদন্ত। এরই মাঝে খবর, সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার। এক তৃণমূল নেতাকে (TMC Leader) এসএসসি দুর্নীতি মামলায় জেরা করেছে সিবিআই (CBI)।
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার প্রায় দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে শাসকদলের ওই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই আধিকারিকরা। অভিযোগ, নিজের প্রভাব খাটিয়ে পরিবারের একাধিক সদস্যকে অনিয়ম করে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। চাকরির জন্য নিয়োগ কর্তাদের কাছে সেই নেতার সুপারিশ পত্র পাঠানো হয়েছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, সূত্রের খবর সদ্য নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো এই তৃণমূল নেতা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমানে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেও দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। সিবিআই এর দাবি, গ্রামে ও ব্লকে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছেন এই নেতা। নেতাকে টাকা দিয়েছেন এমন বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থীকে চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই তাদেরকে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে খবর মিলেছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, সেই বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই দক্ষিণ ২৪ পরগনারর ওই তৃণমূল নেতাকে জেরা করা হয় হয়েছে। জানা গিয়েছে তদন্তকারীদের নির্দেশ মতো মঙ্গলবার একাধিক নথি ও তিনজন আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন ওই নেতা। প্রসঙ্গত, কিছুদিনের আগে ওই নেতার বাড়িতে সিবিআই অভিযান চালায়। ইডিও অভিযান চালায় তার বাড়িতে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারের তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের আগামী সপ্তাহে তাকে তলব করা হয়েছে।





Made in India