বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রিয়জনকে হারানো কতটা কষ্টের সেটা যে হারায় সেই বোঝে। তা সে কাছের মানুষ-ই হোক বা প্রিয় পোষ্য। হ্যাঁ, পোষ্যপ্রেমীদের কাছে চারপেয়েরাও তাদের সন্তানের মতোই। সন্তানস্নেহেই তাদের ছোট থেকে বড় করে তোলেন পশুপ্রেমীরা। তাদের হারানোর কষ্ট কতটা বুকে বাজে তা কথায় বোঝানো সম্ভব নয়। সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ও (Sudipa Chatterjee) প্রিয় পোষ্যকে হারানোর কষ্ট ভুলতে পারেননি এখনো।
গত বছর প্রিয়তম পোষ্যকে হারান সুদীপা। ভানুভূষণ চট্টোপাধ্যায়, হ্যাঁ এভাবে নামকরণ করেই তাকে পরিবারের সদস্য বানিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। ছোট্ট থেকে ভানু ছিল তাঁর কাছে। নিজে হাতে তাকে বড় করে তুলেছিলেন সুদীপা। ভানুর চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি তিনি কিছুতেই। ভানুর বদলে এসেছে নতুন সদস্য। কিন্তু ওই শূন্যস্থানটা পূরণ হয়নি তাঁর।

গত বছর মে মাসে ভানুকে চিরতরে হারিয়ে ফেলেছিলেন সুদীপা। এক বছর কেটে গিয়েছে, কিন্তু ভানুকে ভুলতে পারেননি তিনি। এদিন ভানুর সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে সুদীপা লিখেছেন, ‘এক বছর হয়ে গেল তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছো। হয়তো আমার ইচ্ছা মতো তোমাকে জড়িয়ে ধরতে পারি না আমি, কিন্তু তোমার উপস্থিতি অনুভব করতে পারি সবসময়। মম্মি এখনো তোমাকেই সবথেকে বেশি ভালবাসে’।
এরপরেই সুদীপা লিখেছেন, ‘ওই ডাক্তারকে কোনোদিন ক্ষমা করতে পারব না, যে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে অন্য পোষ্যদের দেখে সময় নষ্ট করেছে। আর তোমাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। ঈশ্বর ওকে শাস্তি দেবেন। ওই টাকা সর্বস্ব রাক্ষসটাকে কোনোদিন ক্ষমা করবে না, এটা আমার প্রতিশ্রুতি।’ না ওই চিকিৎসকের নাম প্রকাশ করেননি সুদীপা। তাঁর কথায়, ঈশ্বরের বিচারের উপরেই তাকে ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে সুদীপা জানিয়েছিলেন, অগ্নিদেবকে বিয়ে করেছিলেন তিনি ভানুকে কাছে পাওয়ার লোভে। তখন অবশ্য ছিল ভানুর মা। জন্মের সময়ে প্রায় মরমর অবস্থা হয়েছিল সদ্যোজাত ভানুর। সুদীপার হাতেই প্রথম কেঁদে ওঠে নবজাতক। ভানুর মাধ্যমেই তাঁর প্রথম মাতৃসুখ পাওয়া। সুদীপার উপরে ভারী অধিকার বোধ ফলাত ভানু।
ভানুকে হারানোর পর থেকেই দিন দিন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলেন সুদীপা। মাঝরাতে ঘুম ভেঙে উঠেও ভুল বকতেন সুদীপা। স্ত্রীর অবস্থা দেখে অগ্নিদেবই উপায় বের করেন। তাঁদের পরিবারে আসে ভান্টু ওরফে ভানু পার্ট টু।





Made in India