বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vore) দিন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে দল বদলের হিড়িক। এবারও অস্বস্তিতে ফের সেই শাসকদল! নির্বাচন পূর্বে বড়সড় ভাঙন ধরিয়ে ঘাসফুল ছেড়ে লাল শিবিরে (CPIM) যোগদান করলেন তৃণমূলেরই প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য সহ শতাধিক পরিবার।
সোমবার বানারহাট (Banarhat) ব্লকের সাঁকোঝোড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলিপাড়া এলাকায় এক অনুষ্ঠান করে তৃণমূলের (Trinamool Congress) প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শ্রীবাস দাস-সহ প্রায় শত খানেক পরিবার শাসকদল ত্যাগ করে লাল ঝান্ডা হাতে তুলে নেয়। দল বদলের পর শ্রীবাস জানান, ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূলে ছিলেন তিনি পঞ্চায়েত সদস্যও ছিলেন। কিন্তু দলে ক্রমাগত বাড়তে থাকা দুর্নীতির প্রতিবাদে তিনি দল ছাড়লেন।
শ্রীবাসবাবু বলেন, “আমিও তৃণমূল করতাম। ২২০ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলাম আমি। আমরা যে তৃণমূল তৈরি করেছিলাম আর আজকে যে তৃণমূলকে দেখছি কোনওভাবেই মেলাতে পারি না। টিভি খুললে টাকা, পেপার খুললে টাকা। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে। এভাবে তো দল করা যায় না। আমরা প্রায় ১৫০ জন যোগ দিলাম তেলিপাড়া থেকে।”

এদিন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন সদস্যদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন সিপিএম এরিয়া কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত মজুমদার ,বিরাজ সরকারেরা। পঞ্চায়েতের ঠিক আগে দলের এই শক্তি বৃদ্ধি যে বেশ খানিকটা অক্সিজেন যোগাবে লাল শিবিরে, তেমনটাই মনে করছে জেলা নেতৃত্ব।
এই বিষয়ে সিপিএমের ধূপগুড়ি এরিয়া কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত মজুমদার বলেন, “গোটা রাজ্যেই সিপিএমের শক্তি বাড়ছে। এবার রাজ্যে সিপিএমের সরকার গঠন হবে। গত এক সপ্তাহে এক হাজারের বেশি পরিবার তৃণমূল থেকে সিপিএমে যোগদান করেছে। সোমবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ দেড়শো পরিবার তেলিপাড়া এলাকায় সিপিএমে এলেন।” তৃণমূল তরফে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।





Made in India