বাংলাহান্ট ডেস্ক: ইমন চক্রবর্তীর (Iman Chakraborty) নাম এখন গোটা বাংলা জুড়ে। টলিউডের গায়িকাদের মধ্যে তাঁর স্থান প্রথম সারিতেই। শুধু জনপ্রিয়তা, যশ খ্যাতি নয়, ইমনের ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় পুরস্কারও। কিন্তু এখন যে উচ্চতায় তিনি উঠেছেন তার জন্য কিন্তু কম পরিশ্রম করতে হয়নি তাঁকে। আর সেই কঠিন সময়টায় মেয়েকে একা আগলে রেখেছিলেন তাঁর বাবা শঙ্কর চক্রবর্তী।
মফস্বলের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে ইমন। ছোটবেলাতেই মাকে হারান তিনি। মায়ের স্নেহ না পেলেও সেই শূন্যস্থানটা পূরণ করে দিয়েছিলেন বাবা। শুধু আদর, ভালবাসা নয়, কোনো অভাব বুঝতে দেননি তিনি মেয়েকে। কোনো অভিযোগ করার সুযোগই দেননি, কারণ বাবার জন্য কোনোদিন কোনো অভাব বুঝতে পারেননি ইমন।

মেয়েকে একা হাতে বড় করেছেন। পড়াশোনা, গান সব শিখিয়েছেন। ছোটবেলায় ইমনের সঙ্গে সঙ্গে যেতেন তিনিও। সেই সময়কার কথা স্মরণ করে গায়িকার বাবা জানিয়েছিলেন, সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মধ্যরাত হয়ে যেত ফিরতে ফিরতে। ইমনের জন্য বাড়ি থেকে খাবার দাবার সব সঙ্গে নিয়েই যেতেন তিনি।
কিন্তু মেয়েকে খাওয়ালেও নিজের পেটে আর কিছু পড়ত না তাঁর। জল খেয়েই কাটিয়ে দিতেন অনেক দিন। মেয়েকে ভাল রাখাই ছিল তাঁর প্রথম চিন্তা। কারণ ইমন কষ্ট পেলে কণ্ঠে গান আসবে না। তাই সব খারাপ দিকগুলো মেয়ের নজরের আড়ালেই রেখেছিলেন তিনি। এমনকি বাড়িভাড়া পর্যন্ত দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না তাঁর।
দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই কথাগুলো ইমনের অজানাই ছিল। বাবার কষ্টের কথা শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন তিনিও। অবশ্য বাবার কষ্টের দাম রেখেছেন ইমন। আজ দেশে বিদেশে গানের অনুষ্ঠান করছেন তিনি। দু হাতে আয় করছেন। অতীতকে মনে রেখেই বাবাকে সুখের মুখ দেখিয়েছেন ইমন।





Made in India