বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার বিহার (Bihar) থেকে একটি তুমুল চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, গত শুক্রবার গভীর রাতে ভোজপুরে (Bhojpur) ছাগল বেঁধে রাখা নিয়ে দুই পড়শির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এমনকি, ওই সংঘর্ষের জেরে দুই পক্ষেরই মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে বয়স্ক থেকে শুরু করে মহিলারাও রয়েছেন।
এদিকে, তাঁদের চিকিৎসার জন্য আড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সম্পন্ন হয় চিকিৎসা। এমতাবস্থায়, ঘটনাটি ঘটেছে ওই জেলার মুফাসসিল থানার অন্তর্গত ছিটকুন্ডি চকিয়া গ্রামে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে রয়েছেন মুফাসসিল থানার ছিটকুন্ডি চকিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাহির খান, তাঁর স্ত্রী নাজমা খাতুন, বাবা সাদিগ পাহলওয়ান, তিন ছেলে ফিরোজ খান, সারভেজ খান, আশিক খান ও পুত্রবধূ নাজমা খাতুন।
অন্যপক্ষের আহতদের মধ্যে সুখদেব যাদব, পুত্রবধূ পচরতনি দেবী, নাতনি রাধা ও নাতি রাকেশ কুমারও ওই একই গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, এক পক্ষের তরফে ফিরোজ খান জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির পাশে মাল্লু নামের এক ব্যক্তির বাড়ি রয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যে নাগাদ ফিরোজ তাঁর বাড়ির বাইরে ছাগল বাঁধছিলেন। তখন মাল্লু তাঁর বাড়ির দেওয়ালের কাছে ছাগল বাঁধতে বারণ করেন।
এই বিষয়টি নিয়েই তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে ওই প্রতিবেশী বাড়িতে ঢুকে সবাইকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। যার ফলে বাড়ির সবাই আহত হন। এদিকে, অপরপক্ষের তরফে পচরতনী দেবী অভিযোগ করেছেন, ওইখানে প্রায়শই ছাগল বেঁধে রাখার পাশাপাশি একটি খাট রাখা হয়। যার কারণে সেখানে যাতায়াত ও বাইক চলাচলে অসুবিধা হয়।

এই ঘটনার বিরোধিতা করতে গিয়েই শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। এরপর অন্য পক্ষের লোকজনরা তাঁদের মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই ছাগল বেঁধে রাখার কারণে উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে।





Made in India