বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) তার নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তারপর একটা গোটা বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও জেলবন্দি তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব। দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে বারংবার জামিনের আবেদন করলেও প্রভাবশালী তত্ত্ব পথের কাঁটা! আজ ফের প্রভাবশালী তত্ত্বে জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
আজ আদালতে পার্থর জামিনের আবেদনের শুনানি চলছিল। তবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিনের বিরোধিতায় সরব হয় ইডি। ED জানায়, পার্থ অত্যন্ত প্রভাবশালী। অ্যারেস্ট মেমোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিকটাত্মীয় লিখেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, গোয়েন্দা সংস্থার বিস্ফোরক দাবি, গ্রেফতারির সময় মাঝরাতে মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার ফোন করেন পার্থ।
অন্যদিকে কিছুদিন আগেই পার্থর হাতের আংটি নিয়ে শোরগোল পরে যায় আদালতে। সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ED জানায়, পার্থ এতটাই প্রভাবশালী যে গ্রেফতারির ৮ মাস পরেও জেলে আংটি পরে বসে থাকতেন। অন্যান্য বন্দিদের থেকে তার জন্য নিয়ম আলাদা। ইডির আরও দাবি, এসএসকেএম হাসপাতালে প্রভাব খাটিয়ে নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট বদল করেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব।

একের পর এক পার্থর প্রভাবশালী হওয়ার উদাহরণ খাড়া করে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অন্য বন্দিদের আনতে প্রিজন ভ্যান অন্যদিকে আদালতে পার্থকে আনতে বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করে রাজ্য পুলিশ। পর্থের জামিনের পথে সব থেকে বড় ইস্যু হয়েছে দাঁড়িয়েছে গ্রেফতারির সময় মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন?
এর আগের জামিনের শুনানি চলাকালীনও ইডি-র আইনজীবী দাবি করেছিলেন, ‘‘গ্রেফতার হওয়ার মূহুর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অ্যারেস্ট মেমোতে আত্মীয় হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করেছিলেন৷ গ্রেফতারির সময় তাকে যখন বলা হয়েছিল, তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, কাকে জানাবেন? তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী ফোন ধরেননি।’’
আর এদিনই এই একই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ইডি। এদিন গোয়েন্দা সংস্থার একের পর এক যুক্তিতেই ফের খারিজ হয়ে গেল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর জামিনের আবেদন। পার্থের জামিনের আবেদন খারিজ করল আদালত।





Made in India