বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা (Lok Sabha) থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নির্বাসিত করা হল কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury)। বৃহস্পতিবার লোকসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে অধীর চৌধুরীকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন এই কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘অসংসদীয় আচরণ’-এর অভিযোগ উঠেছে। প্রিভিলেজ কমিটিতে অধীর চৌধুরী সম্পর্কে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। পালটা রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত সংসদ থেকে সাসপেন্ড থাকবেন কংগ্রেস সাংসদ।
বৃহস্পতিবার সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবে দীর্ঘ ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। অভিযোগ, সেসময় বারবার কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা তাঁকে টিপ্পনি করছিলেন। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিরক্ত করা’র মতো অভিযোগ আনেন। এরপরই তাঁকে নির্বাসিত করা হয়।
এদিন মোদি তাঁর দীর্ঘ বক্তব্যে কংগ্রেসকে বিঁধেও অধীর চৌধুরীর প্রতি ‘সহানুভূতি’ দেখান। অভিযোগের সুরে বলেন, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাকে ‘সাইডলাইন’ করছে দল। প্রশ্ন তোলেন, বাংলা থেকে কি ফোন এসেছিল যে তাঁকে এভাবে কোণঠাসা করা হচ্ছে? আর প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই অধীর চৌধুরীর উপর নামল সাসপেনশনের চাবুক।

এদিন অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বক্তব্য রাখাকালীন একাধিকবার অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। মোদী বলেন, ‘অধীর চৌধুরীকে সাইডলাইন করছে দল। বাংলা থেকে কি তবে ফোন এসেছিল বলেই তাঁকে এভাবে কোণঠাসা করা হয়েছিল?’ পাশাপাশি ‘গুড়’-কে ‘গোবর’ করতে পারেন অধীর, এই কটাক্ষবাণ শানিয়েছিলেন মোদি। পাশাপাশি বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বামেদের সঙ্গে একসময় হাত মিলিয়েছিল কংগ্রেস এই প্রসঙ্গে টেনে মোদী বলেন, আবার সেই কংগ্রেসই তৃণমূলের সঙ্গে জোট করছে।
এদিকে এদিন মোদির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অধীর চৌধুরীর পালটা আক্রমণ, ‘আমাকে ওয়াক আউট করতেই হত কারণ মণিপুর নিয়ে ‘নীরব’ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই নতুন ‘নীরব মোদি’ কে দেখে কী হবে তাই ভাবছিলাম!’





Made in India