বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও শোকের ছায়া বিনোদন জগতে। চলতি বছরটায় যেন রাহু গ্রাস করেছে ভারতীয় বিনোদন জগতকে। একটার পর একটা মৃত্যুর খবরে নাজেহাল সবাই। রোজই কারও না কারও মৃত্যুর খবরে চোখ ভিজছে ভক্তদের। সম্প্রতি প্রয়াত হলেন স্বনামধন্য গীতিকার (Lyricist) কবি কিংশুক চট্টোপাধ্যায় (Kingshuk Chatterjee) ৷ এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলা সঙ্গীত জগতে৷
সূত্রের খবর, বুধবার সকালেই সোনারপুরের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই নাকি যকৃতের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গত প্রায় এক মাস ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি৷ মাঝখানে সুস্থ হয়ে বাড়িতেও ফিরে এসেছিলেন। তবে গত সোমবার আবারও অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
তবে আর ফিরে এলেননা কিংশুক। মাত্র ৪৫ বছর বয়সে সবাইকে কাঁদিয়ে পরলোকে পাড়ি দিলেন এই স্বনামধন্য গীতিকার৷ তাঁর এভাবে অকালে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না তাঁর সহকর্মী তথা পরিবারের সদস্যরা৷ সকলেই তার অকাল প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন৷ সঙ্গীতশিল্পী সৌম্য বসু তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে খবরটি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ৫ হাজারের চাকরি ছেড়ে ইউটিউবার! ভুবন বামের সম্পতি দেখে আঁতকে উঠবে বলি সেলেবরাও
সৌম্য তার পোস্টে লেখেন, ‘‘আজ কবিতারা চুপ। আজ সকাল ছিল না, রাত্রি নেমে এলো…কথা কবিতার কালো দিন…ও পারে ভাল থাকিস কিংশুক।’’ উল্লেখ্য, দীর্ঘ কেরিয়ারে হৈমন্তী শুক্ল, শিলাজিৎ, নচিকেতা, রূপঙ্কর বাগচী, সিধু-সহ একাধিক শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছেন কিংশুক। শ্রোতামহলেও ভালো নামডাক ছিল তার।
আরও পড়ুন : গ্যাসের দাম কমতেই আগুন জ্বালানি তেলে! বাংলার এই ১০ জেলায় পেট্রল ডিজেলের দাম উর্দ্ধমুখী

এইদিন সৌম্য বসু আরও জানান, বছর দশেক আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে কলম থামিয়ে দেন কিংশুক। তবে ২০১৬ সালে আবার তিনি গান এবং কবিতা লিখতে শুরু করেন। সঙ্গীত শিল্পীর কথায়, ‘‘আমার মেয়ের প্রথম গানের অ্যালবামের মাধ্যমে ও আবার গান লেখা শুরু করেছিল। ওর মতো প্রতিভা খুব কম মানুষের মধ্যেই দেখেছি।’’ জানিয়ে রাখি, সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত মদন মিত্রের ‘ওহ্ লাভলি’ ছবিতেও কাজ করেছিলেন কিংশুক।





Made in India