বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোমবারের সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। শহর কলকাতা ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় ঝেঁপে বৃষ্টি নেমেছে। কিন্তু, তারপরেও বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সপ্তাহের শুরুর দিন থলি হাতে বাজারের দিকে বেরিয়ে পড়েছেন গৃহস্থ বাড়ির কর্তারা। আর এদিকে, বৃষ্টি পড়তেই ইলিশের চাহিদা কিন্তু বেড়েছে।
বিভিন্ন বাজারের ক্ষেত্রেই মাছের দাম অবশ্য কম বেশী একই। এক কেজির বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে, ৫০০-৭০০ গ্রামের ইলিশ কিনতে হলে পকেট থেকে খসাতে হচ্ছে ৭০০ টাকার কাছাকাছি। মূলত এই ইলিশই বাজারে সবচেয়ে বেশি কেনা হচ্ছে। যদিও কিছু ছোট ইলিশও রয়েছে। ৩৫০ গ্রামের কাছাকাছি ছোট ইলিশের দাম প্রায় ৫০০ টাকা।
আরোও পড়ুন : তিনদিন চলবে না …! ডায়মন্ড হারবার, সুন্দরবন যাওয়ার প্ল্যান থাকলে সতর্ক হন আগেভাগেই
তবে, মধ্যবিত্তরা যে শুধুমাত্র ইলিশেই মজেছেন তা কিন্তু নয়, অন্যান্য মাছও দেদার বিকোচ্ছে। রুই মাছের প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ২০০-২৫০ টাকা। কাতলা মাছ আর বড় পার্শে মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। প্রতি কেজি পাবদা কিনতে গেলে খরচ ৩০০ টাকা। ৫০০ টাকা করে ভেটকির কেজি রয়েছে। এছাড়া ভোলা মাছের দাম ৪০০ টাকা প্রতি কেজি।
আরোও পড়ুন : চিরঘুমে ইসরোর বিজ্ঞানী! চন্দ্রযান ৩’র কণ্ঠদাতার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিজ্ঞানী মহল
এই বাজারে সস্তায় রুই মাছ মিলছে। এছাড়া কেনা যেতে পারে তেলাপিয়া মাছ। বাজারে এদিন তেলাপিয়ার প্রতি কেজিতে দাম ছিল ১৬০-২০০ টাকা। এছাড়া লোটে মাছও কিন্তু কম দামে কিনতে পারেন। প্রতি কেজির দাম রয়েছে ১০০-১২০ টাকা। বাটা মাছের কেজি রয়েছে ১৭০-২২০ টাকা কেজি। বেশ টাটকাই পাওয়া যাচ্ছে এই মাছগুলোও।

তবে, শুধু যে মার্কেটে ইলিশের রমরমা তা কিন্তু নয়, বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে চিংড়িও। ইলিশ যেখানে চড়া দামে বিকোচ্ছে, কার্যত তার সঙ্গেই পাল্লা দিচ্ছে চিংড়ি মাছের দামও। গলদা চিংড়ির প্রতি কেজিতে দাম রয়েছে ৮০০ টাকা। বাগদা কিনতে হলে আপনাকে কেজি প্রতি গুণতে হবে ৫০০ টাকা। পাশাপাশি ছোট চিংড়ির প্রতি কেজির জন্য খরচ হবে ৩৫০ টাকা।





Made in India