বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জোর বিপাকে ‘বীরভূমের বাঘ’! গত বছর অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই সময় থেকে শ্রীঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই দিন কাটছে তার। বর্তমানে বাংলা পেরিয়ে তার ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড় জেল। সেখানেই স্বপরিবারের সেখানেই রয়েছেন কেষ্ট।
এরই মধ্যে আরও অস্বস্তি বাড়ল অনুব্রতর। বহু টানাপোড়েনের পর অবশেষে আসানসোল থেকে দিল্লিতে (Delhi) সরল গরু পাচার মামলা। এর আগে মামলা স্থানান্তর করা নিয়ে বিচারকের জোর প্রশ্নের মুখে পড়েছিল ইডি (ED)। তবে আজ তদন্তকারী সংস্থার আবেদনে সাড়া দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত।
বুধবার আদালত ইডির আবেদন মঞ্জুর করতেই আরও বিপাকে বাংলার হেভিওয়েট নেতা। এদিন আদালতে জোর সওয়াল জবাব চলে। এদিন ইডির আইনজীবী ২০০৫ সালে ১ জুলাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের জারি করা নোটিফিকেশন আদালতে পেশ করেন। তাতেই ঘুরে যায় পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: মমতার হুমকি-ধমকি ‘ডোন্ট কেয়ার’! মাঝরাতে বিরাট কাণ্ড ঘটালেন রাজ্যপাল, অস্বস্তিতে মুখ্যমন্ত্রী
কী সেই নোটিফিকেশন? সেখানে বলা হয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ৪৪/১সি ধারায় কোনও মামলা স্থানান্তরের আবেদন করার অধিকার ইডির রয়েছে। অন্যদিকে ইডির আবেদনের বিরোধিতা করে কেষ্টর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ সিবিআইয়ের মামলা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত এই আবেদন স্থগিত রাখার কথা বলেন।

আরও পড়ুন: এবার প্রচুর টাকা ঢুকবে পার্থর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে! কে পাঠাবে? শোরগোল আদালতে
তবে বুধবার ইডির নথি খতিয়ে দেখে মামলা স্থানান্তরের আবেদন মঞ্জুর করল আসানসোলের বিশেষ আদালত। প্রসঙ্গত,গরু পাচার মামলা বাংলা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরের জন্য গত ২৮ জুলাই আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ইডির তরফে আবেদন করা হয়েছিল।





Made in India