বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর থেকে চাকরি দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) তোলপাড় রাজ্য। বলতে গেলে ওলটপালট বাংলা। নিত্যদিন একের পর এক নয়া অভিযোগ যুক্ত হচ্ছে সেই নিয়োগ দুর্নীতির তালিকায়। মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) চাকরি দিয়ে শুরু। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিলেন ববিতা। ওদিকে একবছর হতে না হতেই তার চাকরি কেড়ে নেয় শিলিগুড়ির অনামিকা রায়।
অ্যাকাডেমিক স্কোরে ভুলের জেরে চাকরি চলে যায় ববিতার। শিলিগুড়ির অনামিকার অভিযোগ ছিল নিজের আবেদনপত্রে অ্যাকাডেমিক স্কোর ভুল লিখেছিলেন ববিতা, আর তার জেরেই মিলেছিল শিক্ষকের চাকরি। ভুলবশত দেওয়া বাড়তি ২ নম্বর প্রত্যাহার করা হলে ববিতার চাকরি প্রকৃতপক্ষে পাওয়ার কথা অনামিকার। শুরু হয় আইনি লড়াই।
এরপর কলকাতা হাইকোর্ট সব বিবেচনা করে অনামিকাকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ওদিকে চাকরি থেকে বেতন হিসেবে পাওয়া টাকারও হাতবদল হতে থাকে। প্রথমে অঙ্কিতার চাকরিকালীন পাওয়া সমস্ত বেতনের দুই কিস্তিতে ববিতা সরকারকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷

আরও পড়ুন: জেলবন্দি পার্থের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর নাম! ‘যা জানি সবটাই..’, প্রাক্তন মন্ত্রীর এক দাবিতে বিস্ফোরণ
এরপর আবার হাইকোর্টের রায় পরিবর্তন হলে মন্ত্রী কন্যার বেতন বাবদ নেওয়া ১৫.৯২ লক্ষ টাকা পান জলপাইগুড়ির অনামিকা। তবে টাকাই পেয়েছেন শুধু। সাধের শিক্ষকের চাকরি আর পাওয়া হয়নি তার। হাইকোর্টের নির্দেশের পর আজও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক হতে পারেননি শিলিগুড়ি শহরের অনামিকা।
আরও পড়ুন: ‘আজ আছি, কাল নেই, কে জানে ভবিষ্যতে..’, বার্সেলোনায় দাঁড়িয়ে হঠাৎ কী হল মমতার?
অনামিকাকে তার বাড়ির ১৫ থেকে ২০ কিমি দূরত্বের মধ্যে কোন স্কুলে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে কাকে চাকরির সুপারিশ পত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর জুন মাসে চাকরির সুপারিশ পত্র দেয় এসএসসি। তারপর যথাক্রমে মেডিক্যাল এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হলেও এখনও চাকরি হয়নি তার। আজ সোমবার অনামিকার চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা।তবে এরপর এই কাহিনীতে নতুন কোনও মোড় আসে কিনা সেটাই দেখার।





Made in India