বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তোলপাড়! সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোটা পরিবারকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করে ইডি। অভিষেক ও নেতার বাবা-মা কেউ ইডির মুখোমুখি না হলেও বুধবার সঠিক সময়েই সিজিওতে পৌঁছে যান রুজিরা। দীর্ঘক্ষন ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ জানিয়ে সম্প্রতি হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক ঘরণী রুজিরা (Rujira Banerjee)।
অভিষেক পত্নীর অভিযোগ ছিল, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকে উপলক্ষ্য বানিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশ অপপ্রচার চালাচ্ছে। এমনভাবে বিষয় গুলো প্রচার করছে যাতে তার গোপনীয়তার অধিকার খর্ব হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে ছোটেন রুজিরা। আদালতের কাছে আবেদন করে রুজিরা জানান, ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গোপনীয়তার অধিকার সুনিশ্চিত করে তাকে রক্ষাকবচ প্রদান করুক আদালত। অন্যদিকে রুজিরা ভারতের নাগরিকই নন। আদতে থাইল্যান্ডের নাগরিক। এই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে পাল্টা সরব হয় সিবিআই।
আরও পড়ুন: আসন্ন TET নিয়ে বিরাট আপডেট! যা জানালেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল…
আদালতে সিবিআই জানায়, গোপনীয়তার শর্ত কোনও বিদেশি নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য নয়। সমস্ত বিষয় শুনে রুজিরার আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। পাশাপাশি যেসকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে রুজিরার অভিযোগ নির্দিষ্ট সেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার জন্য রুজিরাকে পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি।

তবে এখানেই শেষ নয়! বুধবার এই মামলাতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘গোটা রাজ্যই যেন কালীঘাট থানা নিয়ন্ত্রণ করছে’। বিচারপতির কথায়, ‘মামলার আবেদন শুনে মনে হচ্ছে গোটা রাজ্যের নিয়ন্ত্রক হল কালীঘাট থানা।’ আসলে আদালতে রুজিরার আইনজীবী জানান, গোপনীয়তার অধিকার খর্ব করা হয়েছে এই অভিযোগ নিয়ে অভিষেক কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই বিচারপতি উপরিক্ত মন্তব্য করেন।
তবে রুজিরার অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারপতি বলেন, তার অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে যে খবর পরিবেশন নিয়ে বলা হচ্ছে, তা রাজনৈতিক অপপ্রচারের অংশ হতে পারে। কারও কোনও বক্তব্য অবমাননাকর মনে হলে রুজিরাদেবী সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে পারেন। আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে না।





Made in India