বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত পরশু রাতে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। রেশন দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় উত্তর ২৪ পরগনার এই বেতাজ বাদশাকে। স্থানীয়দের কথায়, শঙ্কর আঢ্য এলাকায় পরিচিত ডাকু নামে। ২০০৫ সালে শঙ্কর আঢ্য প্রথমবারের জন্য পুরসভার কাউন্সিলর নির্বাচনে দাঁড়ান।
তারপর রাজ্যে ২০১১ সালে পালা বদলের পর শুরু হয় ডাকুর উল্কার গতিতে উত্থান। যতদিন যেতে থাকে ততই বাড়তে থাকে তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সাথে তখন থেকেই শঙ্করের সখ্যতা শুরু। প্রয়াত বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ শেঠের উদ্যোগে ২০০৫ সালে প্রথমবারের জন্য পুরসভার ভোটে দাঁড়ান শঙ্কর।
আরোও পড়ুন : BJP-র সুরে সুর মেলালেন অধীর! লোকসভা ভোটের আগেই বড়সড় ‘পালাবদল’? জোর জল্পনা রাজ্যে
সেই নির্বাচনে জয়লাভও করেন। এরপর ২০১০ সালে নিজের ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় সেই ওয়ার্ডে দাঁড় করান স্ত্রী জ্যোৎস্না আঢ্যকে। নির্বাচনে জয়লাভের পর জ্যোৎস্না আঢ্য পুর প্রধান হন। রাজ্যে পালাবদলের পর বনগাঁ রেডক্রস সোসাইটির সম্পাদক, বনগাঁ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ও পরে বনগাঁ শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হন শঙ্কর আঢ্য।
আরোও পড়ুন : ‘ভারতই প্রকৃত বন্ধু, আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল’, ভোট দিয়ে নয়া দিল্লির প্রশংসায় পঞ্চমুখ শেখ হাসিনা
এলাকার ব্যবসায়িক সংগঠনেরও বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ডাকু। ধীরে ধীরে বনগাঁ, এমনকি তার বাইরেও এলাকা জুড়ে শুরু হয় শঙ্করের রাজত্ব বিস্তার। একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে মানি এক্সচেঞ্জ, ট্রাভেলসহ একাধিক সম্পত্তির হদিস পাওয়া গেছে তাঁর নামে। যদিও একটা সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে শঙ্কর তাঁর ‘রাজনৈতিক অভিভাবক’ হিসাবেও সম্বোধন করেছেন।

এলাকায় এতটাই প্রভাব ছিল ডাকুর যে তাঁর ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। বলা বাহুল্য, গোটা বনগাঁয় রীতিমতো ত্রাস ছিলেন ডাকু। এমনকি এর আগেও ৩ বার হাজত বাসও হয়েছে শঙ্কর ওরফে ডাকু। এর আগে জাল নোট পাচার, খুনের মামলায় শ্রী ঘরে যেতে হয়েছে একদা ‘বনগাঁর বেতাজ বাদশাকে।’





Made in India